অনশন করব না, অনেক চাপ: ইডেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী
ক্যাম্পাসে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ১২ নেত্রী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আমরণ অনশন করার জন্য। ১ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে বাইরে বেরিয়ে আসার পর এদের একজন বলেছেন, তারা অনশন করবেন না। তাদের ওপর অনেক চাপ।
আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশের সময় বাধাপ্রাপ্ত হন বহিষ্কৃত এই নেত্রীরা৷ এরপর প্রতিবাদের মুখে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিয়ে আবার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর ঘণ্টাখানেক পর তারা একে একে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে অপেক্ষারত সাংবাদিকরা তাদের কাছে বের হয়ে আসার কারণ জানতে চান। এ সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বসিষ্কৃত সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী রিকশায় উঠে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যেতে চান৷ এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে জানান৷
খানিক পর কার্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হতে দেখা যায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আখতার বৈশাখীসহ আরও কয়েকজন নেত্রীকে৷ বেরিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে বৈশাখী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা অনশন করতে আসছি৷ এখন চলে যাচ্ছি৷ অনশন করবো না৷ আমাদের উপর অনেক চাপ৷ আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব না৷ আপনারা আমাদের আর প্রশ্ন করবেন না৷'
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, বহিষ্কৃত নেত্রীরা আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের একটি কক্ষে অবস্থান নেন। সেখানে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবদুল আওয়াল শামীম এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান৷ আবদুল আওয়াল শামীম এসব নেত্রীদের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন৷ এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রীরা হলেন- ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, তানজিলা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রশ্মি, মারজানা ঊর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি ও সাদিয়া জাহান সাথী। এই তালিকায় আছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী। কর্মীদের মধ্যে আছেন রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা ও সূচনা আক্তার।
সার্বিক বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানকে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
Comments