অনশন ভাঙলেন জাবি শিক্ষার্থী প্রত্যয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার পর তিনি অনশন ভাঙেন।
গত ৩১ মে থেকে অনশন শুরু করেন প্রত্যয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম বিলুপ্তিসহ ৩ দফা দাবিতে অনশন করার ৭ দিন পরে এসে তা ভাঙলেন সামিউল ইসলাম প্রত্যয়।

জাবি প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি অনশন ভাঙেন।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে সামিউল ইসলাম প্রত্যয় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি অনশন ভাঙেন।

মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাব্বির রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, প্রত্যয়কে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। তিনি এক সাংবাদিকসহ আলোচনায় বসতে রাজি হন। পরে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার পরে তিনি অনশন ভাঙেন।

'আমার সামনেই পানি পান করার মাধ্যমে প্রত্যয় অনশন ভাঙে। সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে হলের একই রুমে থাকতে চেয়েছে। আমরা তাকে সেই ‍সুবিধা দেবো', বলেন প্রভোস্ট।

প্রত্যয়ের বাকি দাবিগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থেকে অছাত্রদের বের করা এবং হলের মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন নিশ্চিত করা।

দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য গত ৩১ মে রাত থেকে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অনশন শুরু করেন ওই হলের আবাসিক ছাত্র সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় অনশনরত প্রত্যয় ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজনের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, কতিপয় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী প্রত্যয়ের অনশনস্থলে গিয়ে হামলা করে। সেই সময় প্রত্যয়ের বিছানা-বালিশ তছনছ এবং স্যালাইন রাখার স্ট্যান্ড ভাঙচুর করা হয়। তখন তাদের বাধা দিতে গেলে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি ও কয়েকজন ছাত্রীকেও তারা মারধর করে। এক পর্যায়ে প্রত্যয়কে জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান জাবি শিক্ষার্থী গৌতম কুমার দাস। আর ভাঙচুর চালিয়েছেন গোলাম রাব্বী। তারা ২ জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাবি ছাত্রলীগের নেতা।

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল মঙ্গলবার দিনগত রাতে ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'ছাত্রলীগ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। যদি কোনোভাবে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

হামলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে অবস্থান কর অনশনরত চালিয়ে যান প্রত্যয়। চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে স্যালাইন দেওয়া প্রয়োজন জানালেও মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে অছাত্রদের বের না করা পর্যন্ত স্যালাইন নেবেন না বলেই জানান প্রত্যয়।

সবশেষে আজ জাবি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরে তিনি অনশন ভাঙলেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago