পিএসএলের মানের টুর্নামেন্ট করাও আমাদের জন্য কঠিন: মল্লিক
'ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির জগতে আইপিএলের পরেই অবস্থান বিপিএলের'-এক সময় এরকম কথা জোর গলায় বলতেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের এবার উপলব্ধি, সময়ের তোড়ে বদলে গেছে বাস্তবতা। আইপিএল দূরে থাক, পিএসএলের মানের কাছাকাছি টুর্নামেন্টও তাদের পক্ষে আয়োজন কঠিন বলে জানালেন তিনি। নানান ঘাটতিতে তাদের স্বপ্নের পরিধি হয়ে গেছে ছোট।
২০১২ সালে যখন বিপিএলের প্রথম আসর মাঠে গড়ায় পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)'র শুরুর তখনও আভাসই ছিল না। বিপিএলের চার বছর পর শুরু হয় পিএসএল। এরপর নিয়মিত হচ্ছে টুর্নামেন্টটি। টিভি সত্ত্ব থেকেও তারা আয় করছে মোটা অঙ্কের অর্থ।
বিপিএল ২০১২ ও ২০১৩ সালের পর ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে বন্ধ থাকে এক বছর। ২০১৫ থেকে আবার হলেও টুর্নামেন্টের নির্দিষ্ট সময়সূচী ঠিক করতে পারেনি বিসিবি। স্লট ঠিক করতে না পারায় আনা যায়নি শৃঙ্খলা। বিপিএলের সময়টায় তাই এখন আরও তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু হয়ে গেছে।
মানসম্মত বিদেশী খেলোয়াড়, দর্শক আগ্রহ, টিভি সম্প্রচার সব মিলিয়েই পিছিয়ে গেছে বিপিএল। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে অকপটে নিজেদের ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মল্লিক, 'তখন কিন্তু এতগুলি টুর্নামেন্ট হতো না। সে জায়গায় আমরা ভাল অবস্থায় চলে গিয়েছিলাম। এখন বিশ্বে অনেকগুলো ভালো টুর্নামেন্ট চলে এসেছে। সিপিএল হচ্ছে, পিএসএল হচ্ছে, বিগ ব্যাশ হচ্ছে, ইউএই লিগ এলো, সাউথ আফ্রিকা করছে, সামনে শ্রীলঙ্কা করবে। এটা তুলনা করা কঠিন। আমরা চাই আমাদের ঘরোয়ার মধ্যে অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট করতে চাই। আগের প্যারামিটার দিয়ে বলতে পারব না আমরা একেবারে আইপিএলে মানের বা পিএসএলের যে মানে করতে যায় সেটা আমাদের জন্য করা এই মুহূর্তে কঠিন হবে।'
এই না পারার কারণ হিসেবে সার্বিক পরিস্থিতিকে দায় দিচ্ছেন তিনি, 'কারণ এটা অনেক খরচের ব্যাপার। তাহলে একেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করতে হবে অনেক টাকায়। আমাদের অন্য মডেলে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত হোম এন্ড অ্যাওয়েতেই যেতে পারি না। আমাদের ভেন্যু রেডি না এজন্য। আমাদের ওয়ান অফ দ্য বেস্ট ঘরোয়া টুর্নামেন্ট করতে চাই।'
Comments