রহিমা বেগমকে বাদীর জিম্মায় দিলেন আদালত

রহিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

রহিমা বেগমকে বাদীর জিম্মায় দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মামলার বাদী ও মেয়ে আদুরি আক্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়।

আজ রোববার সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক সারওয়ার আহমেদ তাকে বাদীর জিম্মায় দেন।

এর আগে, রহিমা বেগম খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. আলামিনের খাস কামরায় ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আফরুজ্জামান টুটুল এবং পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমকে শনিবার রাতে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে থেকে ২৯ দিন আগে তিনি নিখোঁজ হয়। শনিবার রাতে তাকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার করা কথা জানিয়েছিল পুলিশ। পরে তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আজ ভোর ৫টার দিকে মরিয়ম বেগমকে দৌলতপুর থানা থেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা ভিকটিম সেন্টারে আনা হয়। এরপর সকাল ১১টার দিকে পিবিআই খুলনার অফিসে নেওয়া হয়।

তখন পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, রহিমা বেগম কিছুটা শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

দুপুর ১টার দিকে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ ৪ মেয়ে পিবিআই অফিসে যান। মরিয়ম মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার মাকে জীবিত উদ্ধার করায় আমরা খুশি। মায়ের সঙ্গে আমরা দেখা করতে চাই এবং কথা বলতে চাই। তিনি কোথায় ছিলেন কিভাবে ছিলেন এসব বিষয়ে আমরা জানতে চাই।'

'মায়ের আত্মগোপনে আমরা ভাইবোন জড়িত কিনা এ নিয়ে অনেকে সন্দেহ করছেন। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আমরা যদি কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত হই বা থাকি তাহলে তদন্ত করে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আমরা কোনভাবেই জানতাম না আমার মা কোথায় গিয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তাছাড়া আমি আগেও বলেছি আমার মা যদি নিজে আত্মগোপনে থাকেন তাহলে প্রচলিত আইনে তার শাস্তি হোক। আমরা চাই এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত হোক। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমাদেরকেও জড়ানো হচ্ছে। আমরা সন্তানরা নাকি তার কাছে টাকা চেয়েছি এসব বিষয় একেবারেই ভিত্তিহীন, মিথ্যা।'

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

7h ago