রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের আরও ‍জোরালো সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ

শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি: সংগৃহীত

৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের আরও জোরালো সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ সমর্থন চান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতিতে বিশ্বাস করে এবং এক চীন নীতিকে সমর্থন করে।'

তিনি উন্নয়ন প্রকল্প এবং করোনা টিকায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং অপরিহার্য কৌশলগত অংশীদার।

তিনি বলেন, '২ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া শত বছরের। ১৯৫০-এর দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২ বার চীন সফর করেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর থেকে ৪৭ বছর ধরে আমাদের গভীর ও পরীক্ষিত বন্ধুত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসছে।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি'র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২ নেতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। মহামারিকালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শতবর্ষ, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২ দেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ের আদান-প্রদান অব্যাহত রেখেছে।'

জিমিং বলেন, '২ দেশের মধ্যে সহযোগিতার একাধিক ক্ষেত্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া। গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করতে চীন ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে।'

লি জিমিং বলেন, 'মহামারির সময় আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে চীন পুনরায় ভিসা ইস্যু শুরু করেছে এবং তাদের জন্য নির্ধারিত ৬টি ফ্লাইট ভাড়া করবে, যার প্রথম ফ্লাইট আগামী পরশু। গত এক দশকে বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই তাদের অর্জন দিয়ে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নৌকা থেকে একটি ক্রুজে পরিণত হয়েছে। আমার গভীর বিশ্বাস, আমাদের নিজ নিজ রাষ্ট্রনেতাদের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধন চিরকাল অটুট থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English
eid-ul-azha emergency cases at pongu hospital

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

3h ago