চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৬ শতাংশ: এডিবি

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) অনুমান করছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বাড়তে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) অনুমান করছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বাড়তে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

আজ বুধবার এডিবির ঢাকা অফিসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২২ প্রকাশকালে এ তথ্য জানান এডিবির কান্ট্রি ডাইরেক্টর এডিমন গিন্টিং।

এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ৬ দশমিক ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

এ ছাড়া, আমদানি কমে এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২২ অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক রপ্তানি মন্দা এর জন্য প্রধান ঝুঁকি।

এডিমন গিন্টিং বলেন, 'সরকার দীর্ঘায়িত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে তুলনামূলক ভালো ভাবে মোকাবিলা করেছে এবং এই অসম পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছে।'

তিনি বলেন, 'তবে এ ধরনের সময় মধ্যম পর্যায়ে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সংস্কারের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহারের উপযোগিতা বাড়ানো, অর্থ বাজারের উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতে ফলপ্রসূ চাকরি তৈরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের প্রচারণা।'

তিনি আরও বলেন, 'আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের অনিশ্চয়তা সংস্কার কর্মসূচীকে গতিশীল করার ভালো নিয়ামক হতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জন ও স্থানীয় টেকসই জ্বালানির সরবরাহ সম্প্রসারণের মাধ্যমে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমতে পারে।'

এডিও ২০২২ আপডেটে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও জ্বালানি ঘাটতির কারণে বেসরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধি কম হবে।

৪৯ বছরের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশকে এডিবি প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Thousands suffer as flood persists in Sylhet; over 16,000 in shelters

While the flood situation in Sylhet had improved recently, incessant rain since Monday has caused flooding to recur, submerging the majority of the areas that had previously receded

9m ago