ভিসিরা এমন কেন?

আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ভালো সংবাদের পরিমাণ এতই কম যে তাতে পাঠকের মনে হতে পারে, তারা বোধ হয় ভালো কাজ করেন না।

আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ভালো সংবাদের পরিমাণ এতই কম যে তাতে পাঠকের মনে হতে পারে, তারা বোধ হয় ভালো কাজ করেন না।

নিশ্চয়ই তারা অনেক ভালো কাজ করেন। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলেছে কী করে? কিন্তু সংবাদের রসায়নই হচ্ছে 'ব্যাড নিউজ গুড নিউজ'। ফলে অন্যান্য পেশার মতো শিক্ষকদের সম্পর্কেও, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা কী কী ভালো কাজ করছেন, তারচেয়ে বরং তারা কী কী খারাপ কাজ করলেন, সেগুলোর সংবাদমূল্য বেশি বা মানুষও এইসব জানতেই বেশি আগ্রহী।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সম্পর্কে এ যাবৎ যত নেতিবাচক খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে, এবার বোধ হয় তার সবগুলোকে ছাপিয়ে গেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান। তার নিয়োগকীর্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়ে তিনি এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে রসিকতা করে অনেকে ফেসবুকে এই প্রতিষ্ঠানকে খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স (কুফা) বলেও সম্বোধন করছেন।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তন করে যোগ্যতা কমিয়ে নিজের মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখের বিরুদ্ধেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শ্যালক, ২ ভাই, স্ত্রীর ফুফাতো ভাই, চাচাতো বোন, গৃহকর্মী, গৃহকর্মীর স্বামীসহ স্বজনদের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

একইভাবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক উপাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল, তিনি নিজের ছেলেকে নীতিমালা শিথিল করে নিয়োগ দিয়েছেন। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে দেওয়া নিয়োগে উপাচার্যের আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সংসদ সদস্যের স্বজনরা রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। অর্থাৎ যখনই ভিসিরা সুযোগ পাচ্ছেন, নিজেদের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দিচ্ছেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সমকালের একটি খবরে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ—কোনো কিছুই পরোয়া করেননি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুর রহমান খান। তদন্ত করে অনিয়ম ধরা পড়লেও দমানো যায়নি তাকে। নিয়োগের নামে নানাবিধ অনিয়ম করে উপাচার্যের ৪ বছর মেয়াদের শেষ দিনে তিনি চুপিচুপি ক্যাম্পাস ছেড়েছেন।

স্মরণ করা যেতে পারে, চুপিচুপি রাতের আঁধারে এর আগেও ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি একেএম নুরুন নবি; যিনি কোষাধ্যক্ষসহ একইসঙ্গে ১৪টি পদে একাই দায়িত্ব পালন করতেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

নানা অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়ে আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বাধা দিয়েছিলেন এবং পদে থাকাকালীন তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেননি বলেও অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের 'রাজাকারের বাচ্চা' বলে গালি দিয়ে বিতর্কিত হওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এসএম ইমামুল হককেও আন্দোলনের মুখে ছুটি দেওয়া হয়েছিল।

উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ থেকে ছাত্রলীগকে চাঁদা দেওয়ার ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক ভিসি ফারজানা ইসলাম। তার অপসারণ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ।

২০১৯ সালের অক্টোবরে আলোচনায় আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান— যিনি এর আগে 'বিশেষ কর্মকর্তার' পদ তৈরি করে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ছাত্রলীগের ১২ জন নেতাকে নিয়োগ দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। ওই বছরের অক্টোবরে তিনি বলেছিলেন, যুবলীগের দায়িত্ব পেলে তিনি উপাচার্য পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছেন।

এরপর ড. মীজানুর রহমান আবারও আলোচনায় আসেন ২০২০ সালের জুনে। করোনাভাইরাসের সংকটকালে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একজন ছাত্রের সঙ্গে ওই সময় তার একটি টেলিফোন আলাপ 'ফাঁস' হয়, যেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের 'গরিবের বাচ্চা' বলে মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কারা আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়েছেন, সেটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তের তালিকায় চোখ রাখলেই পরিষ্কার হবে। গণমাধ্যমের খবর বলছে, অন্তত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি-পদায়ন, অর্থ আত্মসাৎ, উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহার ইত্যাদি।

প্রশ্ন হলো, আমাদের ভিসিরা এমন কেন? কেন তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি গণমাধ্যমের নিয়মিত শিরোনাম হয়? ভিসি হওয়ার পরেই তারা এরকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, নাকি দুর্নীতিপরায়ন বলেই তারা ভিসি হন?

সবশেষ আলোচিত ড. মো. শহীদুর রহমান খান সম্পর্কে গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিতে হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি যতদিন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, মেতেছিলেন জনবল নিয়োগের নেশায়। তার লাগামহীন নিয়োগের ফলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে যায়। কোনো ধরনের রাখঢাক না করেই তিনি আত্মীয়-স্বজন ও আস্থাভাজনদের চাকরি দিতে থাকেন। এসব নিয়োগে তিনি অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন এবং কোনো কোনো নিয়োগে তার বিরুদ্ধে বড় অংকের টাকা লেনদেনেরও অভিযোগ ওঠে। অনুমোদন পাওয়া ৪৪৭ পদের মধ্যে ভিসি তার ছেলে-মেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাসহ ৪২৬ জনকে নিয়োগ দেন। শেষ মুহূর্তে স্ত্রীকেও নিয়োগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন বাদ সাধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এভাবে গণহারে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করতে গিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোনো কাজই শেষ করতে পারেননি। ৪ বছর উপাচার্য থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রকল্পটিও অনুমোদন করাতে পারেননি।

সমস্যার শেকড় কোথায়?

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরকে যে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়, এটি এখন ওপেন সিক্রেট। অর্থাৎ ব্যক্তি হিসেবে তিনি যতই উন্নত চরিত্রের হোন না কেন; তার অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার যতই উজ্জ্বল হোক না কেন; প্রশাসক হিসেবে তিনি যতই দক্ষ হোন না কেন—দলীয় আদর্শের ব্যাপারে তিনি যদি নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করতে না পারেন এবং নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, তাহলে তার পক্ষে উপাচার্য তো দূরের কথা, উপ-উপাচার্য হওয়ারও সুযোগ নেই।

এই পদ পেতে তারা নানা জায়গায় তদবির বা লবিং করেন। অথচ এমনও অনেক শিক্ষক আছেন যাদেরকে উপাচার্য পদ দেওয়া হলেও তারা গ্রহণ করবেন না। কিন্তু রাষ্ট্র এইসব শিক্ষককে পাত্তা দেয় না, যেহেতু তারা দলীয় লেজুড়বৃত্তি করেন না। নিঃশর্ত দলীয় আনুগত্য ছাড়া কারো পক্ষে রাষ্ট্রের কোনো বড় পদে নিয়োগ পাওয়া এখন রীতিমতো অসম্ভব। কালেভদ্রে কেউ দলীয় আনুগত্য ছাড়া বড় কোনো পদ পেয়ে গেলে সেটা বরং ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবেই চিহ্নিত হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রের সর্বত্র যে ক্ষয়, যে বিভেদ; অসৎ ও দুর্নীতিপরায়ণদের যে জয়জয়কার—সেরকম একটি বিরুদ্ধ সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে সেরা শিক্ষক ও সেরা প্রশাসকরা দায়িত্ব পাবেন—এটি বোধ হয় এখন আর কারো প্রত্যাশার ভেতরেও নেই।

আর যখনই কেউ এভাবে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক বলয়ের ভেতরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে নিয়োগ পান, তখন তিনি ওই ক্ষমতাকে প্রথমত কাজে লাগান নিজের ও পরিবারের আর্থিক উন্নয়নে। তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে না। তার বড় অগ্রাধিকার যেহেতু বৈধ-অবৈধ নানা উপায়ে অর্থ উপার্জন, ফলে তার অধিক আগ্রহ থাকে অবকাঠামো নির্মাণ, বিভিন্ন কেনাকাটা এবং অবশ্যই নিয়োগে। আর এইসব করতে গিয়ে তিনি তার শিক্ষক চরিত্র থেকে বিচ্যুত হয়ে অপরাপর দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাতারে চলে যান।

এর থেকে বেরোনোর পথ কী?

মুশকিল হলো, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে কখনো কখনো কোনো কোনো উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও বা তারা রাতের আঁধারে পালিয়ে গেলেও অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। একমাত্র ব্যতিক্রম রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়া—যাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল। সুতরাং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বিরুদ্ধে যে মাঝেমধ্যেই দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যদি সেগুলো দ্রুত নির্মোহ অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতো এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতো, তাহলে অন্যান্য ভিসিদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হতো। কিন্তু নিঃশর্ত দলীয় আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যারা ভিসি হন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন।

অনেকে মনে করেন, এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ১৯৭৩ সালের আদেশে চলা ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সময়ই আইন মেনে সবাইকে সিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। বাকিগুলোয় যেহেতু এই নিয়ম নেই, সেখানে একটি বোর্ডের অধীন মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথিতযশা শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।

সর্বোপরি, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দুর্নীতি করবেন এবং মঞ্জুরি কমিশনকে সেটি তদন্ত করতে হবে—এর চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। কারণ শিক্ষকদের নৈতিকতা অন্য যেকোনো পেশার মানুষের চেয়ে উন্নত হবে—সাধারণ মানুষ সেটিই প্রত্যাশা করে। সুতরাং কোনো ভিসির ব্যাপারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা শুধু তার নিজের নয়, বরং দেশের জন্যই লজ্জার। সেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই নৈতিক কারণেই তার পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।

কিন্তু আমাদের দেশে দায় নিয়ে পদত্যাগের সংস্কৃতি যেহেতু গড়ে ওঠেনি এবং দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে পদ-পদবি বাগানো এবং বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়াই যেহেতু জীবনের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে, ফলে সেই প্রবণতা থেকে শিক্ষকসমাজের অনেকেই মুক্ত থাকতে পারছেন না। অথচ ক্ষমতা ও সম্পদ অর্জনের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষার মূল দায়িত্বটা পালন করার কথা শিক্ষকদেরই।

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

President's fate a political decision; no need to stage demos: Nahid

Information adviser says govt got the people's message, and decision has to be taken through discussions

42m ago