লক্ষ্মীপুরে মেঘনার জোয়ারের পানির চাপে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত চরমার্টিন ইউনিয়নের কালভার্ট এলাকায় তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়ক। ছবি: সংগৃহীত

সাগরে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ঢুকে পড়েছে মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি। পানির স্রোতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভেঙে বিভিন্ন এলাকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

রোববার ও সোমবার বিকেলে জোয়ারের পানিতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের কালভার্ট এলাকায় তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়ক ভেঙে যায়। এতে মতিরহাট মাছঘাট ও পর্যটন কেন্দ্রসহ অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাগা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জোয়ারের পানিতে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানান তিনি। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, রোববার ও সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জোয়ারে মেঘনা নদীর উপকূলীয় কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। উপজেলার ফলকন, কালকিনি, মার্টিন, তোরাবগঞ্জসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্রায় ২ ঘণ্টা পানিতে তলিয়ে থাকে।

জোয়ারের পর দেখা যায়, এসব ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়ক ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি সড়কে গাড়ি চালাতে দুর্ভোগে পড়েছেন চালকরা। 

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সম্প্রতি জোয়ারে একই স্থানে ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগে সমস্যা হয়। জোয়ার এলেই কালভার্ট এলাকার সড়ক ভেঙে যায়।'

জানতে চাইলে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, 'দুইদিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে আমন ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।'

ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। 

ইউএনও বলেন, 'তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কটি নতুন করে সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা। আশা করি, সড়কটি নতুন করে সংস্কার হলে স্থানীয়দের আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না।'

তবে কমলনগর উপজেলায় জরুরিভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago