রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিচার শুরু
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জগঠন করেছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'মামলার চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে মূলত আলোচিত এই হত্যা মামলার মূল বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো। পরবর্তী ধার্য দিন থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।'
তবে মামলার পরবর্তী ধার্য দিন কবে, তা জানাননি রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
মামলার নথির বরাত দিয়ে আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, '২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার বৃহত্তর কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া-১ পূর্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।'
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে
উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন গত ১৩ জুন অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। অপর ১৪ জন এখনো পলাতক। গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ আসামি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজেরা সম্পৃক্ত ছিলেন মর্মে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।
ফরিদুল আলম আরও বলেন, 'এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জন জড়িত ছিল বলে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা-অবস্থান ইত্যাদি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।'
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তান, জামাতা ও ভাইদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছে।
Comments