হাম হামেশা আভারি হু ভারত কি ওর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ডিডি নিউজের লাইভ থেকে

'ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই ভারতে আসি, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করে চলেছি।'

আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি আশা করছি, আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। সেই সঙ্গে আমাদের মূল লক্ষ্য—অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমরা সক্ষম হবো। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আমরা সবসময় সেটাই করি।'

এরপর হিন্দিতে তিনি বলেন, 'হাম হামেশা আভারি হু ভারত কি ওর। হামারা দেশ যাব সোয়াধিনতা অর্জন কিয়া, লিবারেশন ওয়ার হুয়া, ইহাকি লোগোনে যেয়সা হামারা সাথ থি, সাপোর্ট কি, উনকা জিতনা কন্ট্রিবিউশন হ্যায় হামেশা ইসকো সোয়াগাত কারতি হু। হাম রিয়েলি আভারি হু। মেরে ওর সে ভারতবাসী কো হামারা শুভেচ্ছা, স্বাগতম।'

কথাগুলো আবার বাংলায় বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি একটু চেষ্টা করলাম হিন্দিতে বলতে। ৬ বছর ছিলাম এখানে, একটু একটু শিখেছি। সেখান থেকে একটু বললাম যে, আমার তরফ থেকে ভারতবাসীকে আবার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, শুভকামনা জানাচ্ছি। আর সেই সাথে সাথে ৭১ সালে ভারতবাসী যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং সবক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা পেয়েছি, সেজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।'

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লি পৌঁছান। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে নামার পর ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা ভি জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইমরান তাকে অভ্যর্থনা জানান।

৪ দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগ ও নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনার হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করবেন। তার ভ্রমণসূচি অনুযায়ী, আজ তার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

আগামীকাল শেখ হাসিনা শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভাষণ দেবেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের আজমির শরিফ দরগা পরিদর্শন করবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

1h ago