চাঁদে অভিযানের প্রাথমিক ধাক্কার পর আজ নাসার টেলিকনফারেন্স

এসএলএস রকেটের সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে হেলিকপ্টার। ছবি: নাসা
এসএলএস রকেটের সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে হেলিকপ্টার। ছবি: নাসা

চাঁদে অভিযানে প্রাথমিক ধাক্কার পর মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা গণমাধ্যমের জন্য একটি টেলিকনফারেন্সের আয়োজন করেছে। আজ মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় (বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৪টা) অনুষ্ঠিতব্য এই কনফারেন্সে আর্টেমিস ১ চন্দ্রাভিযানের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাবে সংস্থাটি।

নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে। 

এতে অংশ নেবেন আর্টেমিসের অভিযান ব্যবস্থাপক মাইক সারাফিন, আর্টেমিস প্রকল্পের অন্যতম পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন ও স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জন হানিকাট।

গতকাল সোমবার নাসার আর্টেমিস ১ অভিযানের অংশ হিসেবে এসএলএস রকেট ও এর ওপর বসানো মনুষ্যবিহীন ক্যাপসুল ওরিওনের চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ২ ঘণ্টা ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটের উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারণ করা হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে নাসা জানিয়েছে, রকেটের নিচের অংশের সঙ্গে সংযুক্ত ৪টি আরএস-২৫ ইঞ্জিনের ১টিতে উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না হওয়া গতকাল এই অভিযান স্থগিত করা হয়।

রকেট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর সংগৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা করছেন প্রকৌশলীরা। অভিযানের ব্যবস্থাপনা দলটি আজ মঙ্গলবার বিকেলে আবারও তথ্যের পর্যালোচনা করবেন এবং পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন।

আর্টেমিস ১ হচ্ছে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। নাসার নতুন মহাকাশ অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে এই ফ্লাইটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংস্থাটি আশা করছে, আর্টেমিস-২ অভিযানের অংশ হিসেবে ওরিওন ক্যাপসুলে করে নভোচারীরা চাঁদের চারপাশে ঘুরে আসবেন।

নাসা আরও জানায়, পরবর্তী অভিযানে (আর্টেমিস ৩ বা আরও পরের কোনো অভিযান) প্রথম নারী ও শ্বেতাঙ্গ নন এমন নভোচারী চাঁদে অবতরণ করবেন।

মঙ্গলগ্রহে অভিযান ও নভোচারীদের অবতরণের পূর্ব-প্রস্তুতি হিসেবে নাসা আর্টেমিস প্রকল্প চালু করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Postgrad doctors block Shahbagh demanding stipend hike

The blockade resulted in halt of traffic movement, causing huge suffering to commuters

55m ago