পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ: নোয়াখালীতে বিএনপির ১ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলা

নোয়াখালী
নোয়াখালী টাউনহল মোড় জিলা স্কুল ও জেলা জামে মসজিদ এলাকায় গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানসহ দলের ১ হাজার ৮৮ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চেষ্টার অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলার বাদী পুলিশ এবং একটি মামলার বাদী স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুধারাম মডেল থানায় মামলাগুলো করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী দুটি মামলায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বিচারক না থাকায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।

কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি অনুযায়ী নোয়াখালী সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে গতকাল বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৫০০-৭০০ নেতা-কর্মী রশিদ কলোনি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে রওনা দেয়। মিছিলটি টাউনহল মোড় পার হয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে আসতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং পরে সংঘর্ষ বাঁধে।

সুধারাম মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, এসআই আবদুজ জাহেরের করা মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের করা মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হাসেমের করা মামলায় ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে ৩ মামলাতেই জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করে চলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।'

পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে এবং নেতা-কর্মীদেরকে এলাকা ছাড়া করতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা বাদী হয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছেন।'

মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে শত শত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

17m ago