আরামবাগে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, শতাধিক টিয়ারগ্যাস-সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ
ঢাকার আরামবাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ডগ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, নয়াপল্টনে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার পর আরামবাগ এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরামবাগ থেকে কমলাপুরে যাওয়ার রাস্তায় টিএন্ডটি কলেজের সামনে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা কয়েকজন সুইপারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিকেল ৪টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। ওই এলাকা থেকে শতাধিক টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদক আরও জানান, আরামবাগ এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যেই রাস্তায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া, ওই এলাকায় বিআরটিসির একটি কার্যালয়েও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
এ সময় কমলাপুরে একটি বাস, একটি পিকআপ ট্রাক ও বিআরটিসি বাস ডিপোর কয়েকটি অফিসকক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে অগ্নিসংযোগকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আমাদের প্রতিবেদক জানান, বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে কমলাপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আজ ঢাকায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। তাদের সমাবেশস্থলের দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইল মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
পরবর্তীতে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকেও সমাবেশের জন্য জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এর প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার ঢাকা মহানগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
Comments