লালমনিরহাটে নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার একটি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী স্বাস্থ্যকর্মী লালমনিরহাট সদর থানায় এই মামলা করেন।
অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ (৩৮) লালমনিরহাট সদর উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আহত নারী স্বাস্থ্যকর্মী (৩০) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২০ আগস্ট শনিবার দুপুরে আবুল কালাম আজাদ ৩-৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিনিকে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি হাত দিয়ে আমার গালে, মুখে ও কানে কিলঘুষি মারতে থাকেন। পরে তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার শরীরে আঘাত করেন।'
'স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি বিষয়টি ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'ওই যুবলীগ নেতা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুই মাস ধরে উত্ত্যক্ত করছেন। আমাকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছিলেন। বিষয়টি আমি আমার পরিবার ও গ্রামের লোকজনকে জানিয়েছি। এরপরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালান।'
লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীঙ্কর রায় জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার না করায় আশঙ্কা জানিয়েছেন ওই নারী ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, 'আমার স্ত্রী কানে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো আসামি গ্রেপ্তার না করায় আমরা আশঙ্কায় আছি।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, 'আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।'
যোগাযোগ করলে লালমনিরহাট সদরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি চলছে।'
Comments