পটুয়াখালীতে ৪ লাখ টাকাসহ তহসিলদার গ্রেপ্তার

নৌকার এজেন্টের ৬ মাসের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া ভূমি অফিসের তহসিলদার মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছে থেকে ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ বৃহস্প‌তিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে তাকে আটকে রাখে জনতা। পরে রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (অ্যাসিল্যান্ড) সালেক মুহিদ বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন।    

এর আগে গত ১০ আগস্ট অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কোড়ালীয়া লঞ্চ ঘাটের এক কিলোমিটারের মধ্যে খাস আদায়ের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ করা, নিয়মবহির্ভূতভাবে কাউখালী মালেকার খাল ও চর ইমারশন স্লুইস খালে খাস আদায়ের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ, কৃষি খাস জমি একসনা বন্দোবস্ত এবং সরকারী সম্পত্তি যথাযথ ব্যবস্থাপনা না করা ও জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার দায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে শতাধিক মানুষ তহসিলদারকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে ৪ লাখ টাকাসহ আটক করে তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে অ্যাসিল্যান্ড বাদী হয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন। মনিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠা‌নো হয়েছে।

অ্যাসিল্যান্ড সালেক মুহিদ জানান, অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে বরখাস্তকৃত তহসিলদার মনিরুল ইসলাম চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তার ব্যাগ তল্লাশি করে ৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়। টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এরপর পর্যালোচনা করে দেখা যায় সরকারি কোশাগারে টাকা জামা না দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago