কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণে ইমামসহ নিহত ২০, আহত ৪০

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরাঞ্চলের খায়ের খান্না মহল্লার সিদ্দিকিয়া মসজিদ মাগরিবের নামাজের সময় বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

এক আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে, বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

কাবুলে ইতালির এনজিও 'ইমার্জেন্সি' পরিচালিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে আহত ২৭ জন সেখানে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ৩ জন মারা যান।

কাবুলের উত্তরাঞ্চলের খায়ের খান্না মহল্লার সিদ্দিকিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ছবি: এপি
কাবুলের উত্তরাঞ্চলের খায়ের খান্না মহল্লার সিদ্দিকিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ছবি: এপি

আহতদের মধ্যে ৫ শিশুও রয়েছে।

এনজিওটি ইমেইলের মাধ্যমে বার্তা সংস্থা এএফপিকে ৩ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ নিহতের সংখ্যা ৩ জন উল্লেখ করলেও কতজন আহত হয়েছেন তা জানাননি।

এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, 'বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যাকারীদের শিগগির এই অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে।'

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানান, মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, বিস্ফোরণটি এতটাই জোরালো ছিল যে, আশেপাশের বেশ কিছু দালানের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী এপিকে বলেন, 'নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলি অন্যতম।'

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। ছবি: রয়টার্স

তালেবানরা আফগানিস্তানে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানালেও দেশটিতে সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি, বেশ কিছু হামলার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)।

গত সপ্তাহে প্রভাবশালী তালেবান নেতা শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি কাবুলে বোমা হামলায় নিহত হন। সশস্ত্র সংগঠন আইএস এর দায় স্বীকার করে।

গত জুনে কাবুলে শিখ মন্দিরে হামলার দায়ও নেয় আইএসকেপি। সেই হামলায় ২ জন নিহত হন।

২০২১ সালের ১৫ আগস্টে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে বিনা রক্তপাতেই দেশের দখল নেয় তালেবান। তাদের শাসনামলের এক বছর পর এখনো কোনো দেশ তাদেরকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago