জিডি করেছেন মারধরে আহত ঢামেকের সেই ইন্টার্ন চিকিৎসক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন। 

গতকাল রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই জিডি করেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান তিনি। 
 
ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। 

সাজ্জাদ হোসেন হামলাকারীদের পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে হামলাকারীর একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লগোযুক্ত টি-শার্ট পরেছিল বলে জানান তিনি।

সাজ্জাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, ঘটনার সময় তিনি শহীদ মিনারে মূল বেদীর পাশে নিচে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকটি ছেলে এসে তার পরিচয় জানতে চান। ঢাকা মেডিকেলের পরিচয় দিলে আইডি কার্ড দেখতে চান। আইডি কার্ড সঙ্গে নেই জানানোর পর তারা মারধর শুরু করেন। মারার কারণ জানতে চাইলে তাকে আবারো মারা হয়।

তিনি বলেন, 'আরও ৪-৫ জন এসে বলেন আমার নাকি ব্যবহারে সমস্যা। এটা ঢাবির ক্যাম্পাস, আমি এখানে কী করি বলে আবার মারধর করেন। কানে মারার পর আমার মাথা ঘুরানো শুরু করে। আমি বসে পড়ি। এরপর মাথায় লাথি মারেন। আমি কেন এখনো যাই না এখান থেকে এটা বলে চিৎকার করতে করতে আমাকে আবার মারধর করেন তারা।'

মারধরের ফলে তিনি এক কানে কম শুনছেন। তার নাক থেকে রক্ত বের হয়েছে এবং দাঁতের মাড়িও কেটে গেছে বলে জানান তিনি।

ঘটনার এই বিবরণ জিডিতে উল্লেখ করেছেন সাজ্জাদ হোসেন।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেল ৩টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সাধারণ শিক্ষার্থীদের' ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিতের কথা রয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছি যে, তারা এ বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা চাইলে আমরা আন্তরিকভাবে তাদের সাহায্য করবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

2h ago