তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১২
রাজধানীর শাহবাগে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ চলার সময় আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে শাহবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল রাত ৯টা থেকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে 'বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার' ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন।
রোববার অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সমাবেশ পালনকালে তাদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে, এতে তাদের সঙ্গে থাকা দুই শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদিকে, একইদিনে জ্বালানি তেলের বাড়ানো দাম প্রত্যাহার এবং লোডশেডিংয়ের কমিয়ে আনার দাবিতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কমর্সূচি পালন করেন প্রগতিশীল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতারা। 'প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহে'র ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে শাহবাগে সমাবেশ পালন করার সময় পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত শিক্ষার্থীসহ ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানান তারা।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মসূচি যখন শেষের দিকে তখন পুলিশ প্রতিবাদকারীদের উপর লাঠিচার্জ করেন। শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে প্রতিবাদকারীরা তাদের কর্মসূচি পালন করছিলেন। এসময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
এতে শিক্ষার্থী মো: সুলাইমান মিয়া, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাবি সংগঠক সামি আবদুল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস বাঁধন,ছাত্র ইউনিয়নের বৃহত্তর লালবাগ থানা আহ্বায়ক শান্তা ইসলামসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর প্রতিবাদে আগামীকাল বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
হামলার সম্পর্কে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কমর্সূচি যখন শেষের দিকে, তখন পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ১০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।'
শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন বলেন, 'আমরা গতকাল রাত ৯টা থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আজকে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে অবস্থানকারী দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।'
হামলার বিষয়ে চেষ্টা করেও পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদূত হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Comments