দলে জায়গা নিরাপদ রাখার জন্য খেলেছেন শান্ত-মাহমুদউল্লাহরা! 

Khaled mahmud sujon

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার যেন এই সংস্করণে বাংলাদেশের নড়বড়ে অবস্থান আরও নাজুক করে দিয়েছে। ১৫৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট নিবেদন দেখাতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। ব্যাটসম্যানরা কি কেবল নিজেদের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলছেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একটা পর্যায়ে ভালো অবস্থায় ছিল বাংলাদেশ। ৬৭ রানে জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট ফেলে দিয়েছিল। পরে রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গুইর ঝড়ে তারা করে ফেলে ১৫৬ রান। 

ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ১০ রানে। মাঝের ওভারে মন্থর রানরেট ডুবায় সফরকারীদের। চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ বলে করেন ১৬ রান, পাঁচে নেমে নাটকীয়ভাবে শেষ ম্যাচে দলে আসা সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২৭ বল খুইয়ে করেন ২৭ রান।

আফিফ হোসেন ২৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। ওভাররপ্রতি ১০ রান তোলার চাহিদা বেড়ে এক সময় হয়ে যায় আরও চড়া। 

বুধবার ওয়ানডে স্কোয়াডের অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমে ক্ষুব্ধ দেখা যায় মাহমুদকে। শম্বুক গতির রান তাড়ায় দলের ব্যাটারদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি, 'মন খোলে খেলাটাই আমি দেখতে পাচ্ছি না। কালকে ওরকম পরিস্থিতিতে আমরা জানি যে ১০-১২ করে লাগবে, তখন আমরা ৬-৭ করে নিচ্ছি। কেউ দেখলাম না একটা ছয় মারার চেষ্টা করছে। সবাই এক-দুই করে নিচ্ছে। এটা কি?  ওইভাবে যদি বলি নিজের পজিশন ধরে রাখার  জন্য (খেলছে), যে মোটামুটি রান করে নিজের জায়গাটা নিরাপদ রাখলাম।' 

ওপেন করতে নামা লিটন দাস ৬ বলে ১৩ করে আউট হওয়ার পর চলে স্থবিরতা, অভিষিক্ত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৬ বলে আউট হন ২ রান করে। তিনে নামা এনামুল হক বিজয় ১৩ বলে করেন ১৪, শান্ত-মাহমুদউল্লাহ তো বেশিরভাগ বল খেলে মন্থর করে রাখেন রানের চাকা। যা আর পুষানো যায়নি। টিম ডিরেক্টরের পরিষ্কার কথা এত কম স্ট্রাইকরেটে রান তাড়া সম্ভব না, 'আপনি যদি ৯০ স্ট্রাইক রেট বা একশো স্ট্রাইকরেট বা ১১০ স্ট্রাইকরেটে খেলেন তাহলে জিততে পারবেন না তো, কারণ আপনি ১৫৭ তাড়া করছেন। একজনকে কাউকে তো করতে হবে বা দুজন কাউকে করতে হবে। 

'তাদের (জিম্বাবুয়ের) দুজনের (বার্ল ও জঙ্গুই) স্ট্রাইকরেট দেখেন, খেলা এখান থেকে ওখানে নিয়ে গেছে। লিটন দাস যে প্রতিদিন রান করবে এমন না। সেটা আফিফ হোক বা শান্ত হোক। আমি কাউকে দেখি না সেরকম আগ্রাসী। এখানে শর্ট বল আরামে মারতে পারবেন। সেই জোরটা, সেই আত্মবিশ্বাসটা না থাকলে সমস্যা আসলে।'

গত ১৫টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে বাংলাদেশ জিততে পেরেছেন কেবল ২ ম্যাচ। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের এই দুর্দশা চলছিল অনেকদিন ধরেই। তবে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার যেন অনেক বড় ধাক্কা হিসেবে লাগছে মাহমুদের কাছে,  'হতাশা তো অবশ্যই। জিম্বাবুয়ের কাছে আমরা হারব এটা তো আশা করেনি। ওদের থেকে আমরা ভাল দল। সেটা আমরা আগে প্রমাণও করেছি। আমি অনুভব করি ডিসগ্রেস আমার জন্য। আমি ভাবিনি এরকমভাবে হারব। কোন অজুহাত দাঁড় করাব না।'

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago