খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শুনানি মুলতবি চেয়ে আবেদন করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

এর আগে আদালতে খালেদার ব্যক্তিগত হাজিরাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল এবং মাসুদ তার অনুপস্থিতিতে আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

আবেদনে মাসুদ আদালতকে বলেন, সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি। পরবর্তী শুনানির দিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি শেষ করবেন তিনি।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ারসহ অন্যদের পক্ষে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে তাদের শুনানি শেষ হয়েছে। খালেদা জিয়া ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছে।

আজকের শুনানির সময় দুই আসামি মামুনকে আদালতে হাজির করা হয় এবং জামিনে থাকা সেলিম ভূঁইয়া করোনা পজিটিভ হওয়ায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ৪৫ বার সময় চেয়েছে বিবাদীপক্ষ।

২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

তারা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এ কে এম মোশাররফ হোসেন ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত বছরের ১৬ মার্চ মারা গেছেন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

10h ago