দুর্নীতির মামলায় জামিন পাননি হাজি সেলিম

দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি আদালতে আত্মসমর্পণের পর গত ২২ মে হাজি সেলিমকে কারাগারে নিচ্ছে পুলিশ। ফাইল ছবি

দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের জামিন দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই মামলায় হাইকোর্ট তার সাজা ও ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।

তবে হাজি সেলিম নামে পরিচিত হাজী মো. সেলিমের জামিন আবেদন পরবর্তী শুনানির জন্য নথিভুক্ত করেছেন শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সেলিমের দায়ের করা লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার লিভ টু আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাজি সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শীর্ষ আদালত তার মক্কেলের জামিন আবেদন নথিভুক্ত করেছেন। কারণ আদালত আবেদনের বিস্তারিত শুনানি করবেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, হাজি সেলিম সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পাননি। তাই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। হাজি সেলিম বর্তমানে এখন চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে আছেন।

হাজি সেলিম গত ২৩ মে তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজার মাধ্যমে আপিল বিভাগে প্রায় ১ হাজার ২০০ পৃষ্ঠার একটি আবেদন জমা দেন। যেখানে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ড বহাল রাখা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

দুর্নীতি মামলায় হাজি সেলিমকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর একদিন পর গত ২৩ মে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়।

দুর্নীতি মামলায় ২০০৮ সালে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হাজি সেলিম গত ২২ মে ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই সংসদ সদস্যকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় গত বছরের ৯ মার্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

Comments

The Daily Star  | English
British Bangladeshi Labour Party lawmaker and  minister Tulip Siddiq

Tulip seeks meeting with Yunus over corruption allegations, Guardian reports

Tulip, in a letter to the chief adviser, asked for a chance to discuss the ongoing controversy during his trip to London

1h ago