দেশের বাইরে মোস্তাফিজের ইকোনমি কেবল বাড়ছেই
দেশের মাঠে খেলা হলে টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে সামলানোই মুশকিল প্রতিপক্ষের। তার ৪ ওভারকে ট্রাম্পকার্ড মনে করেন অধিনায়ক। কিন্তু দেশের বাইরে গেলেই সেই মোস্তাফিজকে চেনাই দুষ্কর। তার বলে রান বের করা যেন একদম সহজ কাজ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে মোস্তাফিজের মলিন ছবি দেখা যাচ্ছে আরও প্রকটভাবে।
দেশের বাইরে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ১৯ ইনিংস বল করে ২৬.০৪ গড়ে ২৪ উইকেট পেলেও মোস্তাফিজ ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৯.৩৭ করে। গত দুই সিরিজ আগেও এই ইকোনমি ছিল ৯.০১। অর্থাৎ ঘরের বাইরে তার রান বিলানোর হার দিনকে দিন বাড়ছেই।
দেশে আবার তার রেকর্ড দুর্দান্ত। ৩৪ ম্যাচে ১৭.১৭ গড়ে ৪৬ উইকেট নিয়েছেন। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন কেবল ৬.৪৮ করে।
ঘরের বাইরে খেলা শেষ তিন ম্যাচেও ভীষণ মলিন তার পারফরম্যান্স। এই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
আরেক ম্যাচে ২ ওভার বল করেই দিয়ে দেন ২৭ রান। সেদিন তাকে আর বল দেওয়ার সাহসই দেখাননি অধিনায়ক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ৪ ওভারে ২ উইকেট নিলেও ৫০ রান দিয়ে দেন মোস্তাফিজ। অর্থাৎ ওভার প্রতি তার বোলিং থেকে খসেছে ১২.৫০ রান করে।
এর আগেও টি-টোয়েন্টিতে দুবার ৫০ রান দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে। একই বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফ্লোরিডায় ৪ ওভারে ৫০ রান দেন ফিজ। বোলিংয়ে এরকম অপ্রত্যাশিত ফিফটি করায় রুবেল হোসেনের পাশে বসেছেন বাঁহাতি পেসার।
শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্লগ ওভারেই বেশি বাজে বল করেছেন মোস্তাফিজ। লেগ স্টাম্পের বাইরে বল ফেলে কাটার করে অ্যাঙ্গেল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেসব বলে হয়নি কিছুই। ফাইন লেগ, স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধভেরেরা।
মোস্তাফিজ যেসব ম্যাচে মার খেয়েছেন সেসব ম্যাচের উইকেট ছিল গতিময়। বল থেমে না আসার কারণে তার বল হয়নি বিপদজনক। বরং অনায়াসে তা সীমানা ছাড়া করা গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খরুচে মোস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য বড় শঙ্কার। চলতি বছর যেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে সেই অস্ট্রেলিয়ার উইকেটও গতিময়।
মোস্তাফিজকে ভাল করতে হলে নিজের চেনা অস্ত্রের বাইরেও বাড়তি কিছু স্কিল যোগ করতে হবে।
Comments