বাংলাদেশ লক্ষ্য তাড়া করে জিতে যাবে, ভেবেছিলেন সোহান
বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে জিম্বাবুয়ে পায় ৩ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল পুঁজি। হারারে স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়ামে যা এই সংস্করণে স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তারপরও নতুন টাইগার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ভেবেছিলেন বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জিতে যাবেন তারা। তবে তার আশা পূর্ণ হয়নি।
শনিবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হেরেছে নতুন চেহারার বাংলাদেশ। ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পুরো ওভার খেলে তারা করতে পারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিষেকে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সোহান। ২৬ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৪২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৫ বলে ৩৭ ও লিটন দাস ২৯ বলে ৩২ রান করেন। তবে ২৭ বলে ২৬ রানের ইনিংসে হতাশা বাড়ান এনামুল হক বিজয়।
ইনিংসের শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। প্রথম ২ ওভারে ২৮ রান আনলেও পরের ২ ওভারে তারা করতে পারে মাত্র ১৪ রান। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভা ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দেওয়ার পাশাপাশি ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। সেখানেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা। ২০তম ওভারে সোহান সবগুলো বল মোকাবিলা করলেও ১ ছক্কা হাঁকানো ছাড়া কিছু করতে পারেননি। বাকি ৪ রান আসে লেগ বাই থেকে।
বোলিংয়ে রীতিমতো ছন্নছাড়া ছিল বাংলাদেশ। লাইন ও লেংথ নিয়ে ধুঁকতে হয় বিশেষজ্ঞ চার বোলার তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদকে। ফলে ইনিংসের শেষ ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করে আরও ৯১ রান। তাতে দুইশ ছাড়ায় তাদের সংগ্রহ। ম্যাচের পর বোলারদের নিয়ে হতাশা ফুটে ওঠে সোহানের কণ্ঠে, 'আগামী ম্যাচগুলোতে কিছু ওভারে আমাদের উন্নতি করতে হবে। ১০-১৫ রান কম হলে আমাদের জন্য ইতিবাচক একটি ম্যাচ হতো।'
হারারেতে রান তাড়ার রেকর্ড গড়ার হাতছানি ছিল বাংলাদেশের সামনে। তবে সম্ভাবনা জাগালেও তীরে তরী ভেড়ানো হয়নি তাদের। সোহান জানান, পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হওয়ায় জয়ের সমীকরণ মেলানোর চিন্তা করেছিলেন তারা, 'আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা এই রান তাড়া করে জিততে পারব। পিচ খুব ভালো ছিল। আশা করছি, শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।'
Comments