নড়াইলে হামলার শিকার হিন্দু বাড়ি-মন্দির পরিদর্শনে আ. লীগ নেতারা
নড়াইলের দিঘলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক মো. সেক্রেটারি নিজামউদ্দিন খান নিলু, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জালাল মুকুল, লোহাগড় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অচিন চক্রবর্তী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ প্রমুখ।
বুধবার সকালে নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুরে তারা রাধাগোবিন্দ মন্দিরে স্থানীয় ধর্মীয় নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানেও ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সময় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, 'বারবার বলে আসছি, নড়াইলে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, সঠিক তদন্ত করা হোক। যাতে অপরাধীরা আর কখনো এ ধরনের কাজ না করে।'
কেন্দ্রীয় আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, `এই ভয় দূর করতে আমাদের সবাইকে পাশে দাঁড়াতে হবে। এই জন্যই আমরা এসেছি। যারা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে তারা আসলে বাংলাদেশের উপরও হামলা করে। এই শত্রুদের কোনো ক্ষমা নেই, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে তারা মানুষ নয়, দেশের শত্রু।'
এদিকে, সাহাপাড়ার বাসিন্দারাবাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। দিঘলিয়া বাজারে দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই আসছেন জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। পুলিশ-র্যাব টহল দিচ্ছে।
Comments