পদ্মা সেতুতে নেমে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির সেলফি

নেতাকর্মীদের সঙ্গে সেতুর ওপর নেমে সেলফি তুলছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়৷ ছবি: সংগৃহীত

গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়ানো এবং ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ—এমন নিয়মের তোয়াক্কা না করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়৷

ছাত্রলীগ সভাপতি জয়ের বাড়ি বরিশালে। ঈদ উদযাপন করতে আজ শনিবার তিনি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যান। এ সময় নিয়ম ভঙ্গ করে তিনি ও তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন।

পদ্মা সেতুর ওপর নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেলফি তোলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আল নাহিয়ান খান জয় নিজেই পদ্মা সেতুর ওপরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেলফি তুলছেন৷ এরপর নেতা-কর্মীরা জয়ের তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন৷

ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি রাকিব হোসেনের ফেসবুকে শেয়ার করা ছবিতে এক হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে৷

এ ঘটনায় নিয়ম না মেনে সেতুর ওপর ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করে জনগণকে নিয়ম ভাঙতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে সমালোচনা করেছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা৷

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির একজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ সভাপতিকে সংগঠনের নেতা-কর্মীর অনুসরণ করেন৷ কিন্তু তিনি যখন নিজেই নিয়ম ভঙ্গ করেন তখন অন্যরা তার থেকে কি শিখবে?'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে তোলা ছবি শেয়ার করেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছবি: ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি রাকিব হোসেনের ফেসবুক থেকে

সেতুতে সেলফি তোলার সময় জয়ের সঙ্গে ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, তিলোত্তমা সিকদার, উপ-গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান সাগরসহ আরও কয়েকজন নেতা৷

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি৷

ছাত্রলীগ উপ-গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান সাগর। ছবি: সংগৃহীত

তবে, তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তিলোত্তমা সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা নিষেধ, এটা আমাদের জানা ছিল৷ কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো বাড়ি যাচ্ছি, সেই আবেগ থেকে সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি৷'

তিনি আরও বলেন, 'সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ঠিক না৷ কিন্তু সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে মাত্র ৩ মিনিটের জন্য ছবি তুলেছি৷ সব সময় আমরা নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি, আইনের প্রতি সম্মান করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

10h ago