ঈদে মুক্তি পাচ্ছে অনন্ত জলিলের ১০০ কোটি টাকার সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’

দিন: দ্য ডে সিনেমার দৃশ্যে অনন্ত জলিল। ছবি: সংগৃহীত
দিন: দ্য ডে সিনেমার দৃশ্যে অনন্ত জলিল। ছবি: সংগৃহীত

এবারের ঈদে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত, অনন্ত জলিল অভিনীত সিনেমা 'দিন: দ্যা ডে' মুক্তি পাচ্ছে। এটি দেশীয় সিনেমায় ক্ষেত্রে বড় একটি রেকর্ড, কারণ এ পরিমাণ বাজেটের সিনেমা এর আগে কখনো বাংলাদেশে মুক্তি পায়নি।

ইরান ও বাংলাদেশ, এই দুই দেশের যৌথ প্রযোজনার এ সিনেমাটির নির্মাতা ইরানি প্রযোজক ও পরিচালক মুর্তজা আতাশ জমজম। বাংলাদেশ, ইরান, আফগানিস্তান ও তুরস্কে হয়েছে সিনেমার শুটিং। সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল এবং তার বিপরীতে রয়েছেন তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা।

'দিন: দ্য ডে' সিনেমায় অনন্ত জলিলকে আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে। সিনেমায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দমন করতে অভিযানে অংশ নেন তিনি। ছবির টিজার ও ট্রেলার এরই মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

সিনেমাটির প্রচারণায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে কেমন করছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য অনন্ত একটি দলও তৈরি করেছেন।

দিন: দ্য ডে সিনেমার প্রচারণায় অনন্ত-বর্ষা। ছবি: সংগৃহীত

অনন্ত জলিল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'দিন: দ্য ডে'  সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। সেটা দর্শকরা দেখলেই বুঝতে পারবেন।

'টম ক্রুজের সিনেমায় যেমন সাউন্ড থাকে, দর্শকরা সেরকম  ফিল পাবেন এই সিনেমাটিতে', যোগ করেন দর্শকনন্দিত এ তারকা।

অনন্ত আরও বলেন, 'আমাকে সিনেমায় নেওয়ার আগে ইরানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার বিষয়ে স্টাডি করে নিয়েছে। এই সিনেমাটি বিনোদন ও শিক্ষামূলক। মানুষের জীবনের একেকটা দিন কীভাবে কাটে সেটা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। আমার মনে হয় এটা আন্তর্জাতিক মানের একটি সিনেমা হয়েছে। তাছাড়া অনেক রকম চমক রয়েছে সিনেমার গল্পে।'

এর আগে, গত ১৯ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ সিনেমা থেকে অর্জিত অর্থ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান।

'শুধু কোরবানির টাকাই না, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমি যে সিনেমা (দিন: দ্য ডে) মুক্তি দিচ্ছি, সেটা থেকে যে অর্থ আসবে সেই টাকা, এ সবকিছু নিয়েই সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Locals take it upon themselves to repair road

On Saturday, residents of the two villages began the work to turn the earthen road to a brick road

51m ago