ব্লগার অনন্ত হত্যার আসামি ফয়সল বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার

অনন্ত বিজয় দাশ। ফাইল ফটো (একুশ তপাদার/স্টার)

সিলেটের বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফয়সল আহমেদকে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল।

বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিসিটিসি) একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কলকাতা পুলিশের বরাত দিয়ে সিসিটিসি সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই বেঙ্গালুরুর বোম্মনাহাল্লি থেকে ফয়সলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৩ জুলাই তাকে কলকাতায় আনা হয়।

বাংলাদেশে তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ইতোমধ্যে পুলিশের এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) কাজ শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।

এটিইউ- এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসলাম খান এ ব্যাপারে  ডেইলি স্টারকে বলেন, '(ফয়সলকে) গ্রেপ্তারের বিষয়টি ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এবং আমাদের সঙ্গে (কলকাতা পুলিশের) প্রাথমিক কথা হয়েছে।'

চলতি বছরের ৩০ মার্চ সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনাল অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন।

মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন ছিলেন ফয়সল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ৩ আসামি হলেন আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন ও হারুনুর রশীদ। এদের মধ্যে আবুল হোসেন ও হারুনুর রশীদ এখনো পলাতক আছেন।

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নূরানী আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি 'যুক্তি' নামে বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।

সে রাতেই সিলেটের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অনন্ত বিজয় দাশের ভাই রত্নেশ্বর দাশ। মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে থানা পুলিশের কাছে থাকলেও পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।

এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর আদালতে একটি অভিযোগপত্র জমা দিলে আদালত তা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে আদালত তা গ্রহণ করেন।

ওই অভিযোগপত্রে অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যায় শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ এবং ফয়সল আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন মান্নান। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যু হয়।

প্রথম দিকে এই মামলার বিচারকাজ চলে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে। পরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর ২০২০ সালের শুরুর দিকে মামলাটি সেখানে স্থানান্তর করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Parking wealth under the Dubai sun

The city’s booming real estate has also been used by Bangladeshis as an offshore haven to park wealth for a big reason

6h ago