নীলকমল নদীতে ডুবে মৃত্যু, ভাই-বোনের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

কুড়িগ্রাম সীমান্তে নীলকমল নদীতে ডুবে মারা যাওয়া দুই ভাইবোনের মরদেহ ফেরত আনার পর ভিড় করেন গ্রামবাসী। ছবি: এস দিলীপ রায়

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নীলকমল নদীতে ডুবে মারা যাওয়া দুই সহোদর পারভীন খাতুন (৮) ও শাকিবুল হাসানের (৪) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার সময় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দুই শিশুর মরদেহ গ্রহণ করে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে শিশু দুটির মরদেহ তাদের বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়। এ তথ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাশিপুর কোম্পানি ক্যাম্পর কমান্ডার ফরিদ উদ্দিন।

বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে দালালের মাধ্যমে রহিচ উদ্দিন (৩৮) ও তার স্ত্রী সামিনা খাতুন (৩৩) তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছিলেন। সীমান্তে নীলকমল নদীর তীরে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে দালালদের কথা অনুযায়ী তারা নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় শিশু দুটি ভেসে যায়। তবে রহিচ উদ্দিন ও তার স্ত্রী সামিনা খাতুন প্রাণে বেঁচে যান। পরদিন ভারতে বিএসএফ ও পুলিশের উপস্থিতিতে নদী থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

রহিচ উদ্দিন বলছিলেন, 'দালালের কারণে আমরা সন্তানদের হারালাম। দালালদের কথামতো আমরা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলাম। আমাদেরকে নিরাপদে দেশে আনার জন্য দালালদের ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।'

রহিচ উদ্দিন জানান, তাদের আরও দুই সন্তান আছে। তাদের একজন অষ্টম শ্রেণিতে ও অন্যজন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাশিপুর কোম্পানি ক্যাম্প কমান্ডার ফরিদ উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএসএফ শিশু দুটির মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে পুলিশের মাধ্যমে শিশু দুটির মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

No active militant presence in Bangladesh: home adviser

The reports of suspected extremists' deportation from Malaysia shows no links to local terrorist networks, he says

1h ago