বন্যার আশঙ্কায় সিডনির বাসিন্দাদের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ
প্রবল বন্যার আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েল রাজ্যের রাজধানী সিডনির আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
বিরামহীন বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ 'হুমকিপূর্ণ' পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
আজ রোববার রাজ্যের জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী স্টেফ কুক বলেছেন, 'আপনি যদি নিউক্যাসল এবং বেটম্যানস বে'র মধ্যে কোথাও বাস করেন তাহলে দয়া করে বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করবেন না। এটি একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতি।'
সিডনির একাধিক এলাকা দ্রুত বন্যা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বৃষ্টির গতিবেগ হচ্ছে প্রবল থেকে প্রবলতর। নদীগুলো ফুলে বাঁধ উপচে একের পর এক এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রাতে হকসবেরি-নেপিয়ান নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে।
এসব এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী স্টেফ কুক বলেছেন, 'বাসিন্দাদের এলাকা চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'যদি আগে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়ি চলে যান।'
গত মার্চে টানা ২৮ দিনের বৃষ্টিতে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য বন্যার কবলে পড়ে। তখন ২০ হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।
এবারের বন্যা তার থেকেও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছে স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস।
সিডনির উপকূলে আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে জানানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউক্যাসল, সেন্ট্রাল কোস্ট, লেক ম্যাককুয়ারি এবং আপার কক্স, কোলো, ম্যাকডোনাল্ড, ওরোনোরা, প্যাটারসন, উইলিয়ামস এবং লোয়ার হান্টার নদী।
আজ সিডনির মেট্রোপলিটন, ইলাওয়ারা, হান্টার, সেন্ট্রাল টেবিলল্যান্ডস এবং সাউদার্ন টেবিলল্যান্ডস এলাকাগুলোতে তীব্র ঝড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাতের জরুরি আবহাওয়া সতর্কতা দেওয়া হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় জরুরি সাহায্য ও উদ্ধারের জন্য ১ হাজার ৪০০টিরও বেশি কল করা হয়েছে জরুরি পরিষেবাগুলোতে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে জানিয়েছে জরুরি পরিষেবা বিভাগ।
জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী স্টেফ কুক বলেন, 'বর্তমান বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে নিচু এলাকায় হাজারো মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
প্রতিরক্ষা বাহিনীর হেলিকপ্টার এবং সৈন্যরা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্গত এলাকায় জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments