স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক হত্যায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ঢাকার আশুলিয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
আশরাফুল ইসলাম জিতু। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুরের নগরহাওলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ বুধবার ভোরে জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ছেলে জিতুকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে দেন।

গত ২৫ জুন আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে (৩৭) স্টাম্প দিয়ে পেটানো হয়। এই ঘটনায় স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুর বিরুদ্ধে নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার মামলা করেন। মামলায় জিতুর বয়স ১৬ বছর দেখানো হলেও জন্ম সনদ ও নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর ৬ মাস।

ঘটনার দিন স্কুলে ছাত্রীদের আন্তশ্রেণি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন উৎপল কুমার সরকার। সে সময় জিতু একটি স্টাম্প নিয়ে অতর্কিত উৎপল কুমার সরকারের ওপর হামলা করেন।

পরে উৎপল কুমার সরকারকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।

(শিক্ষক হত্যায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে মামলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক উল্লেখ করায় দ্য ডেইলি স্টার তার নাম ও ছবি আগের প্রতিবেদনগুলোতে ব্যবহার করেনি। তবে জন্মনিবন্ধন ও শিক্ষা সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর হওয়ায় নাম ও ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।)

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi expatriates in Lebanon urged to stay safe amid escalating conflict

Bangladesh Embassy in Lebanon has requested Bangladeshi expatriates living in that country to stay safe amid an ongoing war situation there

1h ago