যে শর্তে পিকআপ ভ্যানে পদ্মা সেতু পার করা হচ্ছে মোটরসাইকেল
নিষেধাজ্ঞা আসায় পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না মোটরসাইকেল। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। বাধ্য হয়ে চালকরা পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে সেতু পার হচ্ছেন। এতে প্রত্যেক মোটরসাইকেল চালককে গুনতে হচ্ছে ১ থেকে ২ হাজার টাকা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ দৃশ্য দেখা গেছে। পদ্মা সেতু উত্তর থানার কাছেই পিকআপ ভ্যানে মোটরসাইকেল তোলা হচ্ছে। পদ্মা সেতু টোল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পিকআপ ভ্যানে মোটরসাইকেল তোলার পরে ভালোভাবে ঢেকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করা যাবে। তবে চালক, মালিক গাড়িতে যেতে পারবেন না। তারা অন্য গাড়িতে সেতু পার হবেন।
মাওয়া টোল প্লাজায় কর্মরত বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পিকআপ ভ্যানে মোটরসাইকেল কাপড় বা কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে পার করা হলে সেটি পণ্যবাহী গাড়ি হিসাবে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে টোল পরিশোধ করে সেতু পার হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় কোনো যানবাহন নেই। কিছু মোটরসাইকেল আসছে তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঘাট ত্যাগ করছে।
মোটরসাইকেল চালকদের অভিযোগ, পিকআপ ভ্যানে মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট কাউকে সঙ্গে যেতে দিচ্ছে না। এতে চুরির ভয় থাকে। এ জন্য আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি।
তারা আরও জানান, একেকটি ভ্যানে ২-৩টি করে মোটরসাইকেল যেতে পারে। খরচ হচ্ছে ১ থেকে ২ হাজার টাকা। মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে যেতে এই ভাড়া অনেক বেশি। জাজিরা খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। কোথাও কোথাও আরও বেশি।
Comments