প্রায় অর্ধেক অস্ট্রেলিয়ানের অভিভাবকের জন্ম বিদেশে
২০২১ সালের আদমশুমারিতে অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই কোটির বেশি মানুষকে গণনা করা হয়েছে। এবারের গণনায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পরিবার, ঘরবাড়ি ও মহামারি চলাকালে দেশটি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আদমশুমারির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ানদের অর্ধেকেরও বেশি প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী।
আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এবিএস) ২০২১ সালের আদমশুমারির তথ্য প্রকাশ করেছে।
শুমারি মতে, ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ানের একজনের অভিভাবক বিদেশে জন্ম নিয়েছেন এবং ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ানের জন্ম সে দেশের বাইরে।
২০২১ সালের আদমশুমারিতে অস্ট্রেলিয়ায় ২ কোটি ৫৪ লাখ ২২ হাজার ৭৮৮ জনকে গণনা করা হয়েছে। এটি ৫০ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ১৯৭১ সালের আদমশুমারিতে ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার ১ জনকে গণনা করা হয়েছিল।
আদমশুমারির লক্ষ্য হচ্ছে—সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, জন্মের দেশ, পূর্বপুরুষ ও বাড়িতে ব্যবহৃত ভাষাগুলোর তথ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি জানানো।
এবারের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষা ব্যবহারের লোকের সংখ্যা বেড়েছে। এর সংখ্যা এখন ৫৫ লাখের বেশি।
২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ অন্য দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন, যা প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাসিন্দাদের অনুপাতকে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বাইরে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছেন ভারত থেকে। ফলে, চীন ও নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে এবং অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হয়ে ওঠেছে ভারত।
এবারের আদমশুমারিতে ভারতে জন্মগ্রহণকারী অতিরিক্ত ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৩ জনকে গণনা করা হয়।
এদিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ নেপাল। এখানে অতিরিক্ত ছিলেন ৬৭ হাজার ৭৫২ জন। ২০১৬ সাল থেকে নেপালি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
২০২১ সালের আদমশুমারির তথ্যানুসারে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া ৪১ হাজার ২৩৩ জন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। বাংলাদেশে জন্ম তবে বাংলায় কথা বলেন না এমন মানুষের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৪ জন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments