কিশোরগঞ্জের ১০ উপজেলা প্লাবিত, পানিবন্দি ৩ লাখ
কিশোরগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং উজানের পানি চলে আসায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
আজ মঙ্গলবার জেলার প্রধান নদী ধনু বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ও কালনী ১৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, আরও ২-৩ দিন জেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাবে।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নদ-নদীগুলোর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলার ১০টি ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।'
এর মধ্যে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরবের নিচু এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে শতশত পুকুর।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ডেইলি স্টারকে জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার ৪০০ শুকনো খাবারের প্যাকেট ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
Comments