রাবি অধ্যাপক আনোয়ারের মৃত্যুর পরদিনই মারা গেলেন মা

রাবির ফার্মেসি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার উল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার উল ইসলাম গতকাল বিকেলে মারা গেছেন।

এদিকে, রাতে অধ্যাপকের মরদেহ ফরিদপুরের নিজ বাড়িতে নেওয়া হলে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আজ শনিবার সকালে তিনিও মৃত্যুবরণ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

অধ্যাপক আনোয়ার উল ইসলামের মেয়ে সানীন নাহীরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবার মরদেহ আনার পরপরই দাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তার ব্রেইন স্ট্রোক হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হলে আজ সকালে তিনি মারা যান।'

আজ বিকেলে ফরিদপুরে অধ্যাপক আনোয়ার উল ইসলাম ও তার মায়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে অধ্যাপক আনোয়ার উল ইসলাম শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অধ্যাপক আনোয়ার উল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করে রাবির ফার্মেসি বিভাগের প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ওই বিভাগের সভাপতি, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও, অধ্যাপক আনোয়ার উল ইসলাম বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকাস্থ বেসরকারি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, 'অধ্যাপক আনোয়ার উল ইসলাম ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও গবেষক। তিনি মানুষ হিসেবে অত্যন্ত সজ্জন ও বন্ধুবৎসল ছিলেন। বিজ্ঞানে তার অনেক অবদান রয়েছে। দেশের মানুষের জন্য তার আরও বহু কিছু করার ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের একজন মেধাবী শিক্ষককে হারাতে হলো। দেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও গবেষককে হারালো, যার স্থান সহজে পূরণ হওয়ার নয়। শিক্ষা ও গবেষণায় অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago