গ্রামে গাছপালার আধিক্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন তৈরি করে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 গ্যাস সংকট
নসরুল হামিদ। ফাইল ফটো

গ্রামীণ এলাকায় গাছপালার আধিক্যকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিঘ্ন সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'বর্তমানে দেশে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতিজনিত কারণে কোনো লোডশেডিং নেই।'

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, '২০২৩ সালের জুনের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে।'

চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, '২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।'

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাগুলোতে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কাজ চলমান আছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে।'

অপর এক প্রশ্নের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা ছাড়া দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দিতে সরকার প্রতি বছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি দেয়। 

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর ২০২২ জানুয়ারিতে মজুদের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট বলে জানান তিনি।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।

বর্তমানে ৮টি গ্রাহক শ্রেণির অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।'

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে  প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস কূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।'

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, 'কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদিত ৪ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন কাগজ অবিক্রীত আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

3h ago