‘জ্বালানির সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব’

‘বাংলাদেশের জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০’ শীর্ষক সম্মেলন পূর্ববর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন।

টেকসই উন্নয়নের কথা বলুন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলুন, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের কথা বলুন, এর সব কিছুই জ্বালানির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

আজা এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন। 'বাংলাদেশের জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০' সম্মেলন (বিইপি ২০৫০) উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে তিন দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে।

ইনু বলেন, আমাদের সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা যদি ২০৪০ অথবা ২০৫০ হয় তাহলে এখন থেকেই এই বছর বা প্রতিবছর বাজেটে একটা বরাদ্দ থাকতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিকল্প জ্বালানিতে রূপান্তরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কত টাকা বরাদ্দ করবেন এইবার সে বিষয়টাও আলোচনায় আসা উচিত এবং প্রস্তাব আকারে আসা উচিত যে আগামী জুন মাসে বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ করা হবে।

ইনু আরও বলেন, কীভাবে বিদেশি নির্ভরতা কমানো যায় এবং জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বিকল্প জ্বালানিতে যাওয়া হবে—পুরো বিষয়টা আলোচনায় আসবে।

বর্তমান গতিতে চললে ২০৪০ সালের মধ্যে বিকল্প জ্বালানিতে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন সাবের হোসেন চৌধুরী।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'যেহেতু বৈশ্বিকভাবেই সবাইকে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে, সেহেতু নীতির সমন্বয় ও সামঞ্জস্যতা রক্ষার মাধ্যমে জাতীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই, আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞানের ওপর আস্থা রাখতে হবে এবং এবং ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি এন্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি)-এর মতো নীতি গ্রহণ করতে হবে।'

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ সম্মেলনে সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনার পাঁচটি বিষয়ভিত্তিক ইস্যুতে দুটি পূর্ণাঙ্গ এবং ছয়টি সমান্তরাল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেট (বিডব্লিউজিইডি), ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন (বিজিইএফ), ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান), সোলিস পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেড (এসপিইএল) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ—এই আয়োজক এবং সহ-সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিরা আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

The honeymoon period of the interim government is over

What started as a moment of hope—a chance to break free from the chains of authoritarian rule—has increasingly turned into a struggle for meaningful reform.

1d ago