অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার ৫টি ধারার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ এর ৫টি ধারার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। এসব বিধিমালা অনুযায়ী, ১০০ বা তার বেশি সদস্যের ক্লাবকে মদের লাইসেন্সের আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হয়।
অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ এর ৭ (২) এবং (৪), ৯ (৩), ১৫ (২(ক) এবং ১৫ (২) ধারাগুলো ক্লাবগুলোকে মদের লাইসেন্সের আবেদনের অনুমতি এবং ২০০ জনেরও বেশি সদস্যের ক্লাবকে বার খোলার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার অনুমতি দেয়। এসব বিধি কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র, আইন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ২০ এপ্রিল অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মার-ই-উম খন্দকার ও মো. মনোয়ার হোসেনে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
মার-ই-উম খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মদ বিক্রি, বিপণন, আমদানি-রপ্তানি, মজুদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবনে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু, মদ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ এর ৭(২) ও (৪), ৯(৩), ১৫(২(কে) ও ১৫(২) ধারা বহাল থাকলে মদ বিক্রি, বিপণন, আমদানি-রপ্তানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবনের দরজা খোলা থাকবে। এতে সমাজ বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, এই ধারাগুলো সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
Comments