‘বিএনপির এমপি আমাকে আইন শেখাচ্ছেন’

ছবি: সংগৃহীত

আইনের শাসন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের মধ্যে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাহাস হয়েছে। 

হারুন বলেছেন, আজকে দেশের সব থেকে বড় সংকট হচ্ছে সুশাসনের অভিযোগ। সরকার আইন প্রয়োগে বৈষাম্য করছে। তিনি বলেন, আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হলে আইন করে লাভ কী? 

এর উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির এমপি আমাকে আইন শেখাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। সেই জন্য আইন শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
 
আজ সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২২ উত্থাপনকালে এ বাহাস হয়। 

আইনমন্ত্রী বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে হারুনুর রশীদ বলেন, বিলের বিষয়ে আমার আপত্তি নেই। বিচারকদের এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ান। আরও বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। কারণ একটি বিচার নিষ্পত্তিতে ৩০ বছর লেগে যাচ্ছে।
 
আইন প্রয়োগে বৈষম্যের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে দেখলাম এই সংসদের সদস্য ১০ বছরের দণ্ডিত হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আপনি (আইনমন্ত্রী) বলেছেন, উনি আইন মেনেই গিয়েছেন। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বিদেশে চিকিৎসা নিতে আপনাদের কাছে বার বার আবেদন করে আসছেন। আপনারা বলছেন কোনো সুযোগ নেই। 

বিরোধী দলের সারাদেশে কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে কি না প্রশ্ন তুলে হারুন বলেন, 'আপনারা (আওয়ামী লীগ) কর্মসূচি পালন করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায়। কিন্তু বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখানে আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য করছেন। 
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আইন তৈরি করবেন কার জন্য। মানুষের জন্য আইন তৈরি করবেন। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ তো আমরা পাচ্ছি না। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার জবাবে বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বিচারের সুযোগ ছিল? ছিল না।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে দায়মুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওনারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করে বিচার বন্ধ করেছিলেন। আর আজকে উনি আমাকে বিচার শেখাচ্ছেন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে ক্ষমতায় ছিলেন ওনারা। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স তুলেছিলেন? তোলেননি। বিচার শেখান এখন আমাকে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Secretariat entry passes for all private individuals cancelled

Journalists' accreditation cards also cancelled until further notice

54m ago