‘মোনালিসা’র ওপর কেক-হামলা

বিশ্বখ্যাত শিল্পকর্ম ‘মোনালিসা’র ওপর কেক-হামলা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে রাখা রেনেসাঁযুগের শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম 'মোনালিসা'র দিকে কেক ছুড়েছেন এক দর্শনার্থী।

আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত রোববার এ ঘটনা ঘটে।

ল্যুভর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পরচুলা পরা এক ব্যক্তি হুইলচেয়ারে চড়ে 'মোনালিসা'র দিকে যাচ্ছেন। পরে তাকে হুইলচেয়ার পাশে রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়।

মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের বার্তায় বলা হয়, চলাফেরা করতে সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের বিশেষ বিবেচনায় সাধারণ দর্শকদের সামনে যাওয়া অনুমতি দেওয়া হয়। যাতে তারা কাছে থেকে শিল্পকর্মগুলো ভালোভাবে দেখতে পান।

এতে আরও বলা হয়, 'মোনালিসা'র কাছে গিয়ে সেই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে যান এবং তার কাছে লুকিয়ে রাখা কেক ছুড়ে মারেন। সেটি 'মোনালিসা'র সামনের কাঁচে গিয়ে পড়ে। তবে এতে শিল্পকর্মটির কোনো ক্ষতি হয়নি।'

প্যারিসের প্রসিকিউটর কার্যালয় গণমাধ্যমকে জানায়, ৩৬ বছর বয়সী সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পুলিশের সদরদপ্তরের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগে রাখা হয়েছে। ল্যুভর কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দর্শনার্থীদের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারী ব্যক্তি ফরাসি ভাষায় বলছেন, 'পৃথিবীর কথা ভাবুন। তাকে ধ্বংস করতে অনেকেই আছে।'

অপর ভিডিওতে দেখা জাদুঘরের এক কর্মী কাঁচের ওপর থেকে কেকের সাদা মাখন মুছে ফেলছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দা ভিঞ্চির এই সেরা শিল্পকর্মটি দেখতে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ল্যুভরে আসেন।

আড়াই ফুট লম্বা ও ২ ফুট প্রশস্ত শিল্পকর্মটিকে অনেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা বলে দাবি করেন। এই শিল্পকর্মটির ওপর যুগে যুগে 'হামলা' হয়েছে। ১৯১১ সালে ল্যুভরের এক কর্মী এটি চুরিও করেছিলেন।

১৯৫০ এর দশকে 'মোনালিসা'র ওপর অ্যাসিড হামলাও হয়েছিল। এরপর থেকে 'মোনালিসা'কে রক্ষায় বুলেটপ্রুফ কাঁচ বসানোসহ নানান ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

২০০৯ সালে এক নারী 'মোনালিসা'র দিকে সিরামিকের কাপ ছুড়েছিলেন। কাপটি ভেঙে গেলেও শিল্পকর্মটির কোনো ক্ষতি হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh intensifies Covid-19 screening at Benapole amid surge in India

The move comes following an alert issued by the Directorate General of Health Services (DGHS) on June 6

1h ago