টেস্টের বোলিং থেকে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির লাভ দেখছেন সাকিব
এই টেস্ট সিরিজের আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ছিটকে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেরে উঠে নাটকীয়ভাবে দলে যোগ দিয়ে খেলতে নামেন বোলিং অনুশীলন ছাড়া। কিন্তু অনুশীলন ঘাটতির সেই ছাপ দেখা যায়নি সাকিবের বোলিংয়ে।
দুই টেস্ট মিলিয়ে বল করেছেন ১০৪.১ ওভার। চট্টগ্রামে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৪, ঢাকায় একমাত্র ইনিংসে নিলেন ৫ উইকেট। ২০১৮ সালের পর টেস্টে পেলেন ৫ উইকেটের দেখা। দুই টেস্টে তাকে বৈচিত্র্যপূর্ণ বল করতে দেখা গেছে। ফ্লাইট-ড্রিফটের মোহনীয় ঝলক যেমন দেখিয়েছেন, আর্ম বলের ধারও দেখা গেছে। এমনকি বাঁহাতি লেগ স্পিন বল করেও নজর কেড়েছেন তিনি।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই জানান, টেস্টে তার বোলিংয়ের বৈচিত্র্য কাজে দেবে সীমিত সংস্করণের ক্রিকেটে, 'পাঁচ উইকেট পেলে সবারই ভাল লাগবে। টেস্ট ম্যাচ খেলতে থাকলে বোলিংয়ের অনেক জিনিস নিয়ে অনুশীলনটা করা যায়। ম্যাচের ভেতরেই। যেগুলো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সাহায্য করবে। সাধারণত ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি খেলতে থাকলে বোলিংয়ের শেইপ, অ্যাকশন সব বদল হতে থাকে। যখনই টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়, একটা -দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলা হলে ওই জিনিসগুলা আবার ছন্দটা ফিরে আসে। যেটা আমার জন্য ভাল, ওটা আমাকে সাহায্য করবে টি-টোয়েন্টি ও ওডিআইতে।'
এই টেস্টে ৪০.১ ওভার বল করে ৯৬ রানে নেন ৫ উইকেট। টেস্টে এটি তার ১৯তম পাঁচ উইকেট। দুই টেস্ট মিলিয়ে টানা বোলিং করার ফলে যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য, 'চট্টগ্রামে দুইটা ইনিংস, আর এখানে এই ইনিংস মিলিয়ে ১০০ ওভারের উপরেই মনে হয় করে ফেলছি (বোলিং)। স্বাভাবিকভাবে এত ওভার যখন বল করা হয় অনেক কিছু এক্সপেরিমেন্ট, চিন্তা ভাবনা আসে। বল করতে করতে অ্যাকশন বদল হয়ে যাওয়া, অনেক কিছুর একটা সুযোগ ছিল। হতে হতে হতে যেটা বললাম অনেকক্ষণ বল করার পর সব বোলারেরই ছন্দটা ভাল হতে থাকে। যদি ওরকম চাপের পরিস্থিতি না থাকে। সাধারণত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অনেক বেশি চাপ থাকে। স্পেশালি স্পিনারদের। টেস্ট ম্যাচে সুযোগ থাকে নিজের রিদমকে ভাল অবস্থানে নিয়ে আসার। সেই জায়গা থেকে প্রথম টেস্ট থেকে দ্বিতীয় টেস্ট সাহায্য হয়েছে।'
এই টেস্টে দিমুথ করুনারত্নেকে দারুণ এক ডেলিভারিতে করেন বোল্ড। আগের টেস্টে তাকে দেখা যায় রিষ্ট স্পিন করতে। সাকিব জানান এসব নিয়ে আলাদা কন কাজ করেননি। তবে বৈচিত্র্যটা নিশ্চিতভাবে কাজে আসবে সাদা বলে, 'ওরকম কাজ করা হয় নাই। করার পর মনে হয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই বৈচিত্র্য কাজে আসতে পারে। অনুশীলনেও করা উচিত।'
Comments