দুই ওভার দেখেই মোসাদ্দেককে আর বল দেওয়ার সাহস করেনি বাংলাদেশ!
বিশেষজ্ঞ দুই অফ স্পিনারের চোটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে একাদশে রাখা হয় বিকল্প হিসেবে। এই টেস্টটা তিনি খেলছেন বিশেষজ্ঞ অফ স্পিনারের ভূমিকায়। কিন্তু দলের ৯৭ ওভারের মধ্যে কেবল ২ ওভার বোলিং পেয়েছেন তিনি। এই দুই ওভারে তার বোলিংয়ের ধরণ তাকে দিয়ে বল করাতে নিরুৎসাহিত করেছে বাংলাদেশ দলকে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন চতুর্থ বোলার হিসেবে নবম ওভারে তাইজুল ইসলামের আগেই বল করতে এসেছিলেন মোসাদ্দেক। বাঁহাতি দিমুথ করুনারত্নেকে ধরাশায়ী করার পরিকল্পনা থেকে তাকে বোলিংয়ে আনেন মুমিনুল হক।
কিন্তু ওই ওভারে করুনারত্নের হাতে দুই বাউন্ডারি হজম করেন মোসাদ্দেক। পরের ওভারে আরও এক বাউন্ডারিসহ দেন ৬ রান। এরপর বাকিটা সময় তাকে কেবল ফিল্ডিং করতে দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞ স্পিনার বিবেচনায় একাদশে রেখেও কেন আর বোলিংয়ে আনা হয়নি তাকে, এমন প্রশ্নে নিজের ক্যারিয়ারের একটা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, 'অধিনায়ক তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, সেটা কাজে দেয়নি। তার দুটো ওভার খুব ভাল ছিল না। আমার মনে হয় তার প্রথম ওভার ছিল খুব দ্রুত, দ্বিতীয় ওভার কিছুটা মিশ্র। সে দুই ওভারে ১৬ রান (১৪) দিয়ে দেয়।'
'হেনসি ক্রনিয়ে যখন আমাকে বোলিং থেকে সরিয়ে নিত, সে আমাকে বলত, "যাও কিছু চিন্তা কর এবং পরে এসে বল যে কখন তুমি বল করার জন্য প্রস্তুত"। ব্যাপারগুলো এরকমই নিষ্ঠুর ছিল। সে কাল সকালে বল হাতে পেতেও পারে। টেস্ট ক্রিকেটে অনেক উত্থান পতন হয়। এখানে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। কিছুটা বিরতি নিয়ে দেখতে হবে কি হয়।'
ম্যাচের পরের ভাগে মোসাদ্দেক বল পান কিনা দেখার বিষয়। তবে বোলার হিসেবে তার লাল বলের রেকর্ড একদমই মলিন। ৪২ ম্যাচে নিতে পেরেছেন কেবল ২৯ উইকেট।
এই সিরিজের আগে চোটে পড়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ছিটকে যাওয়ায় নাঈম হাসানকে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে তিনি ৬ উইকেটও নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আঙুল ভেঙে ছিটকে যান সিরিজ থেকে।
এই দুজন ছিটকে যাওয়ায় যিনি হতে পারতেন যোগ্য বিকল্প সেই শুভাগত হোমকে উপেক্ষা করেন নির্বাচকরা। পাইপলাইনেও লাল বলে কার্যকর আর কোন অফ স্পিনার না থাকায় মোসাদ্দেককে দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সেটা আক্ষেপের কারণ না হলেই স্বস্তি স্বাগতিকদের।
Comments