ম্যাচ জিততে জুতসই লিডের খোঁজে বাংলাদেশ
মিরপুরের চিরায়ত উইকেট থেকে এবারের উইকেট একটু হলেও ভিন্ন। চিরায়ত টার্নিং ও মন্থর উইকেটে দুদিন পরেই বোঝা যায় ম্যাচের গতিপথ। কিন্তু এবার দুদিন পর কোন দলকেই স্পষ্ট এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা দু'দিনে স্পিনারদের বলে উইকেট পড়েছে মাত্র একটা। পেস বোলারদের জন্য এখানে অনেক সহায়তা আছে বলে মনে করছেন লিটন দাস। বাংলাদেশের ইনিংসের শক্ত জবাব দিতে থাকা লঙ্কানদের চেপে ধরে বড় লিডের আশা স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৪৩ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন সকালে নেমেই ইবাদত হোসেন ফিরিয়েছেন নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিতাকে।
তবে এখনো লিড নেওয়ার ভালোই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে সফরকারীরা। উইকেটে কিছু অসমান বাউন্স দেখা গেলেও তা ব্যাট করার যথেষ্ট ভালো।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৯ উইকেটই পেয়েছেন লঙ্কান পেসারররা, অন্যটি রানআউট। শ্রীলঙ্কার ইনিংসেও এখনো পর্যন্ত ৩ উইকেটের দুটি নিয়েছেন ইবাদত। একটি সাকিব আল হাসানের।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের হয়ে লিটন জানান, দুই পেসার ইবাদত ও খালেদ আহমেদের কাছ থেকে তৃতীয় দিনে তাদের চাওয়া অনেক বেশি, 'পেস বোলারদের জন্য উইকেটে সহায়তা আগের দিনও ছিল, আজকেও ছিল। আমি মনে করি না, স্পিনারদের জন্য খুব একটা সহায়তা ছিল। তারপরও আমাদের বোলাররা যথেষ্ট ভালো বল করেছে, স্পিনাররা।'
'আমার মনে হয়, আমাদের যে ফ্রন্টলাইনে দুজন বোলার আছে, তাদেরকে একটু দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু উইকেট নিতে না পারলেও যদি আঁটসাঁট বল করতে পারে… কিছু তো 'আপ অ্যান্ড ডাউন হবেই, ওই জিনিসের জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।'
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এখনো ২১৫ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা। তারা তাদের পুঁজি যেন বাংলাদেশের কাছে নিয়ে আসতে না পারে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে লিটনের, 'এখনও তারা পিছিয়ে আছে অনেকদূর। মিরপুরের উইকেটই এমন যে, সকালে একটি-দুটি উইকেট দ্রুত নিয়ে নিতে পারলে, অনেকখানি সম্ভাবনা থাকবে। অবশ্যই প্রথম ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ এখানে। তারা যদি আমাদের কাছাকাছি আসে বা পেরিয়ে যায়, তাহলে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাব। যতখানি লিড টানা যায়, এগিয়ে থাকা যায়, ততটা ভালো আমাদের জন্য।'
Comments