বাংলাদেশকে শক্ত জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা
মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের পাওয়া জুতসই পুঁজির জবাবে দারুণ শুরু পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে-ওশাদা ফার্নান্দো মিলে খেলছেন সাবলীলভাবে, আলগা বোলিংয়ের সুবাদে রান আসছে ওয়ানডে মেজাজে।
বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে সফরকারীরা। ৮৩ বলে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন ওশাদা। অধিনায়ক দিমুথ খেলছেন ৪৯ বলে ৩১ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংস থামিয়ে জবাব দিতে নেমে লঙ্কান দুই ওপেনার শুরু থেকেই ছিলেন রান আনায় সড়গড়। অনেকটা ওয়ানডে গতিতেই আগ বাড়তে থাকেন তারা।
মিরপুরের উইকেট সাধারণত হয় স্পিন বান্ধব। তবে বিস্ময়করভাবে এই টেস্টে স্পিনারদের দাপট দেখা যায়নি এখনো। বাংলাদেশের ইনিংসে কোন স্পিনার পাননি উইকেট। লঙ্কান ইনিংসেও এখনো বিষধর হয়ে দেখা দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামরা।
দিনের দ্বিতীয় ভাগে ব্যাটিং পাওয়ায় উইকেটের আর্দ্রতাও বিপদের কারণ হয়নি লঙ্কানদের। তাদের এগিয়ে চলার পথে আপাতত নেই কোন বড় বাধা।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে কাঁপন ধরিয়েছিলেন লঙ্কান দুই পেসার। বাংলাদেশের পেসারদের তেমন পরিস্থিতি তৈরি করার কাছাকাছি যেতেও দেখা যায়নি। খালেদ আহমেদের দু'এককটি বল গুড লেন্থ থেকে বাড়তি লাফিয়েছে। তবে এসব সামলানো হয়নি কঠিন। ইবাদত হোসেনও ছিলেন সাদামাটা।
দুই পেসার ওভারপ্রতি রান দেন ৪ করে। সাকিব বল হাতে নিয়েই অবশ্য চেপে ধরেন লঙ্কান ইনিংস। রান আটকে তৈরি করছিলেন চাপ। কিন্তু আরেক পাশে সেই চাপ থাকেনি। নাঈম হাসানের চোটে অনেকদিন পর টেস্টে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন তার অফ স্পিন দুই ওভারেই দেন ১৪ রান।
তাইজুলের বল থেকেও বেরিয়েছে অনেকগলো রান। তবে সেশনে প্রথম উইকেটের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনিই। তার মিডল স্টাম্প বরাবর পিচ করে হালকা টার্ন করা দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হন ওশাদা। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে আম্পায়ার্স কলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে।
ওশাদা পরের ওভারে আউট হতে পারতেন সাকিবের বলে। তার এগিয়ে এসে তীব্র জোরে মারা শট হাতে জমাতে পারেননি সাকিব। ৪৩ রানে জীবন পাওয়ার পর একই চেষ্টায় পরের ওভারে সাকিবকে ছক্কা মেরেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।
Comments