‘নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের আগেই পাকিস্তানে নির্বাচনের সম্ভাবনা’

বিবিসির কাছে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আগামী নভেম্বর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদনে আসিফের বরাত দিয়ে জানানো হয়, দেশে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের আগেই এই নির্বাচন হতে পারে। 

বিবিসি উর্দুর কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ আরও জানান, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার নভেম্বরের আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারে এবং একটি নতুন সরকার দেশের শাসনভার নিতে পারে।

সেনাবাহিনীর বর্তমান চিফ অব স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, সেনাপ্রধান ঘোষণা করেছেন, তিনি তার মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নন।

'আমি তার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই, কারণ এত জল্পনা কল্পনার দরজা বন্ধ হয়েছে', যোগ করেন খাজা আসিফ। 

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ ও ভোট বর্জনের পর ১৭৪ জন আইনপ্রণেতার ভোটে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ গত ১১ এপ্রিল দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগের দিন, ১০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের বিপক্ষে ১৭৪টি ভোট পড়ে এবং তিনি পরাজিত হন। 

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago