‘অনিয়ন্ত্রিত বাজারে একটি গোষ্ঠীকে লাভবান করতেই তেলের দাম বৃদ্ধি’

Syabeen

সয়াবিন তেল আজ শুক্রবার থেকে বর্ধিত দামে বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত এই বর্ধিত মূল্য ঘোষণার পর থেকেই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম গতকাল লিটারে ৩৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

দাম বৃদ্ধিতে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৮ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে।

হঠাৎ করে সয়াবিন তেলের দাম এতো বৃদ্ধি এবং এর পেছনের কারণ জানতে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঙ্গে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'বাজারের যে কিছু নিয়মকানুন আছে সেগুলো আমাদের দেশে নেই। বাজারে অনিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী থাকলে আইন-কানুন কাজ করে করে না। ব্যবসায়ীদের মুনাফার মানসিকতার পাশাপাশি যোগ হয়েছে বিভিন্ন কমিশন। সরকার জনস্বার্থে কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা করছে না।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকারের কাছে আমরা যে প্রত্যাশা করি তা অনুপস্থিত। অনিয়ন্ত্রিত বাজারে যারা লাভবান হচ্ছেন সরকার তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই সয়াবিন তেলের দাম লাফিয়ে লিটারে ৩৮ টাকা বেড়েছে। এর আগে প্রতি লিটারে এতো টাকা বেড়েছে বলে আমার জানা নেই।'

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, 'সরকার জনগণের কথা ভাবলে হঠাৎ করে সয়াবিন তেলের দাম এতো বাড়তো না। সরকার এখন আর জনগণের কথা ভাবে না।'

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, 'তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি কোনোভাবেই জনগণ এবং সরকারের জন্য ভালো না। সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নিরুপায়। করোনা পরবর্তী বিশ্ব বাস্তবতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর মনোপলি আচরণের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে বিষয়টি সহনশীল পর্যায়ে আনতে। জনগণের যেন কষ্ট কম হয় সেজন্য বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে। অচিরেই একটা কর্মপন্থা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। আপাতত সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'

Comments