রাশিয়া ও ইউক্রেন সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশের ১৪শ আইপি অ্যাড্রেস

রাশিয়া ও ইউক্রেনের হ্যাকাররা বটনেট ও ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো হ্যাক করার চেষ্টা করছে। ছবি: রয়টার্স (প্রতিকী)

রাশিয়া ও ইউক্রেনের হ্যাকাররা একে অপরের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালানোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গোভ সার্ট বা বিডি সার্ট) সাম্প্রতিক তদন্তে এ তথ্য জানা গেছে।

বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, চলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের হ্যাকাররা বটনেট ও ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো হ্যাক করার চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি, 'অ্যাটাক সিগনেচারের' ওপর ভিত্তি করে রুশ সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কম্পিউটার সিকিউরিটি ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম সার্টকে এই আক্রমণগুলো সম্পর্কে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়। ফলে বিডি সার্ট এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে বাংলাদেশের সরকারি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা প্রায় ১ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।

বিডি সার্টের তথ্য অনুযায়ী, এই আইপি অ্যাড্রেসগুলো ভুল তথ্য ছড়ানো ও ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস (ডিডিওএস) আক্রমণ চালাতে ব্যবহার করা হয়েছে।

এ সব সাইবার হামলার কারণে বিডি সার্ট ঈদের ছুটির আগে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করেছিল। বিডি সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহর স্বাক্ষরিত এই বার্তায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩টি সুপারিশের কথা বলা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বটনেট ও ম্যালওয়ার সংক্রামণ সংক্রান্ত সতর্কতা। ছবি: সার্টের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

এগুলো হলো: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন তথ্য পরিকাঠামো পরীক্ষা করে বটনেট ও ম্যালওয়ার সংক্রামণ মুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অ্যান্টি-ডিডিওস (Anti-DDOS) হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন বা হালনাগাদ করতে হবে।

আসন্ন ঈদের ছুটির সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোকে হ্যাকিং প্রতিরোধে যথাযথ মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago