চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমির মূল্যে কারসাজির ‘প্রমাণ’ পেয়েছে দুদক

সরেজমিনে চাঁদপুরে দুদকের তদন্ত দল। ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে মূল্য কারসাজির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদকের একটি দল চাঁদপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস্ সাদাৎ এর নেতৃত্বে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।

এগুলো পর্যবেক্ষণ করে জমির মূল্য কারসাজিতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে দুদক।

এতে বলা হয়, জমির দাম বাড়তি দেখিয়ে এবং বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে সেলিম খান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

দুদক শিগগির এর সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে।

দুদক জানায়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে সুকৌশলে জমির মূল্য প্রায় ২০ গুণ বেশি দেখিয়ে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অগাধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল।

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বুধবার দুদকের অভিযানে তদন্ত দল লক্ষ্মীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের পাশে মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরেজমিন পরিদর্শন করে।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

10h ago