বুচা শহরে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সত্য নয়: ক্রেমলিন

বুচা শহরে ধংসযজ্ঞ। ছবি: এপি

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, কিয়েভের কাছে অবস্থিত বুচা শহরে রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধাপরাধে জড়িয়েছে বলে ইউক্রেন যে অভিযোগ করেছে, তা সত্য নয়।

এ অভিযোগ সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ সোমবার তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য নিয়ে সংশয় আছে। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ান সামরিক বিশেষজ্ঞরা বুচার ভিডিও 'ম্যানিপুলেশনের' এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য আসার প্রমাণ পেয়েছেন।

'ফ্যাক্ট ও সময়ের সঙ্গে মিল নেই এসব দাবির', যোগ করেন তিনি।     

তিনি আরও বলেন, মস্কো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বুচা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের জন্য সেটি হচ্ছে না।

'পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে গুরুতর। আমরা বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে তাড়াহুড়ো না করেন, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নেন এবং আমাদের যুক্তিগুলো অন্তত শোনেন', তিনি বলেন।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়,  বুচা গত ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে রাশিয়ার দখলে ছিল। মস্কো-কিয়েভ শান্তি আলোচনার পর গত সপ্তাহে সেখান থেকে রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়।

এর কয়েকদিন পর ইউক্রেনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, রুশ সেনাবাহিনী বুচায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যুদ্ধাপরাধ চালিয়েছে। এ ঘটনাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা 'গণহত্যা' হিসেবে উল্লেখ করেন।    

গতকাল রোববার রুশ সামরিক বাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, ইউক্রেনের সরবরাহ করা এসব ভিডিও রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের কয়েকদিন পরের। গত ৩১ মার্চ রুশ সেনা প্রত্যাহারের সিটি মেয়র এ ধরনের কোনো নৃশংসতার কথা উল্লেখ করেননি।

এদিকে সিএনএনের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, রাশিয়া বুচার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

রাশিয়ার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিন আজ তার সংস্থাকে বুচার বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্ত কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমাদের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ান সামরিক কর্মীদের সুনামহানি করার জন্য ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বেসামরিক গণহত্যার প্রমাণ হিসাবে কিয়েভ অঞ্চলের বুচা শহরের ভিডিওগুলো পশ্চিমা মিডিয়াতে দিয়েছে।'

Comments