সুখী দেশের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার স্থান ১২, বাংলাদেশ ৯৪
গত ১০ বছর ধরে জাতিসংঘ 'ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট' প্রকাশ করছে। বিশ্বব্যাপী ১৫০টিরও বেশি দেশের মানুষ কীভাবে তাদের নিজের জীবনকে মূল্যায়ন করেন, সে সমীক্ষার তথ্য দিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়।
২০২২ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি দেশগুলোকে সুখী সমাজ অর্জনের লক্ষ্যে নীতি তৈরিতে সহায়তা করতে পারে। মহামারী ও যুদ্ধের সময় আমাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২২ 'অন্ধকার সময়ে উজ্জ্বল আলোর উৎস'।
করোনাভাইরাস সঙ্কট কারণে মানুষের মঙ্গলের ওপর কী প্রভাব পড়েছে তার উপর ভিত্তি করে গ্যালাপ ইন্সটিটিউটের সমীক্ষার ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা এ বছর প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ফিনল্যান্ডকে টানা পঞ্চমবারের মতো সবচেয়ে সুখী জনসংখ্যার দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর পরই রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, নরওয়ে, ইজরায়েল এবং নিউজিল্যান্ড।অস্ট্রিয়া ১১, অস্ট্রেলিয়া ১২, আয়ারল্যান্ড ১৩, জার্মানি ১৪, কানাডা ১৫ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১৬তম স্থানে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য ১৭, দক্ষিণ কোরিয়া ৫৯ এবং চীন ৭২তম স্থানে রয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ১৪৬টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৯৪ নম্বরে অবস্থান করছে। সুখী জনসংখ্যার দেশের তালিকায় গত বছরের তুলনায় ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১।
এ বছরের তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৩৬ এবং পাকিস্তানের ১২১।
সুখী দেশের তালিকা তৈরি করার সময় একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত সুস্থতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে বিশ্ব সুখের প্রতিবেদনের পাঠ হল সামাজিক সমর্থন, একে অপরের প্রতি উদারতা এবং সরকারে সততা। বিশ্ব নেতাদের এ বিষগুলোতে সতর্ক হওয়া উচিত। রাজনীতিকে পরিচালিত করা উচিত 'শাসকদের ক্ষমতা নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য' এই নীতির ভিত্তিতে।'
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments