রমজান পর্যন্ত পর্যাপ্ত ভোজ্যতেলের সরবরাহ আছে দেশে

ফাইল ছবি

ভোজ্যতেলের দামে চলমান অস্থিরতার মধ্যে দেশে রমজান মাস পর্যন্ত ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রাজধানীর টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের ডিলার ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'দেশে বর্তমানে ৬ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের মজুদ আছে। এর বাইরে ১ লাখ ৮৩ হাজার টন বহির্নোঙরে আসবে শিগগির। আরও ১ লাখ ৭৫ হাজার টন দেশের বিভিন্ন রিফাইনারিতে প্রক্রিয়াজাতকরণের অপেক্ষায় আছে।'

এরপরও কেন বাজারে সংকট তৈরি হচ্ছে তা জানতেই ভোজ্যতেলের ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে ভোক্তাদের অধিকার রক্ষার এই সংস্থাটি।

তিনি বলেন, 'যে মজুদ দেশে আছে সেটা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ ডলারে। আমদানি মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তেলের দাম নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে যে দাম বেড়ে প্রতি টন ১ হাজার ৯০০ ডলার হয়েছে সে দামে তেল কেনার জন্য কেউ এখনো এলসি খোলেনি। কাজেই দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব সেটাতে সম্মত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।'

দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ডিলাররা বলছেন বাজারে সরবরাহ নেই। কিন্তু আমদানিকারকরা বলছেন, তারা পর্যাপ্ত সরবরাহ করে যাচ্ছেন বাজারে। আমরা ডিলার আর আমদানিকারকদের মুখোমুখি করাতে চাই।'

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, 'দেশের বাজারে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ভোজ্যতেল সরবরাহ করা প্রয়োজন। সেটা হচ্ছে কি না তা মনিটর করতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা দল মিলগেইটে অবস্থান করতে পারে।'

তিনি বলেন, 'অনেকে সাপ্লাই অর্ডার নিয়ে বসে আছেন। ১৫ দিনের মধ্যে সাপ্লাই অর্ডারের বিপরীতে তেল নিয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেকে বছরখানেক আগের সাপ্লাই অর্ডারে তেল নিয়ে যাচ্ছে, যা বন্ধ করা দরকার।'

সভায় মিলারদের কাছ থেকে তেল কেনার ভাউচার অনেক ডিলার দেখাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, 'আমরা অভিযান চালাচ্ছি। যারা ভাউচার দেখাতে পারবেন না, শুক্রবার থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থায় যাবো আমরা।'

Comments